নিজস্ব সংবাদদাতা • বরাবাজার |
সিপিএমের বরাবাজার জোনাল কমিটি ভেঙে দু’টি জোনাল কমিটি গঠন করা হল। নতুন দু’টি জোনাল কমিটি হল বরাবাজার উত্তর ও বরাবাজার দক্ষিণ। পার্টি সদস্যের সংখ্যা অনেক বেড়ে যাওয়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বলে দলীয় নেতৃত্ব জানিয়েছে।
শনিবার বরাবাজারের জোনাল কমিটির সম্মেলন হয়। সেখানেই ঠিক হয়, জোনাল কমিটি এ বার ভেঙে দেওয়া হবে। বরাবাজার জোনাল কমিটির সম্পাদক ছিলেন সন্তোষ মহাপাত্র। তিনিই বরাবাজার উত্তর জোনাল কমিটির সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। এই নিয়ে তিনি তিন বার জোনাল সম্পাদক নির্বাচিত হলেন। বরাবাজার দক্ষিণের জোনাল সম্পাদক হয়েছেন বিবেকানন্দ কুণ্ডু। তিনি বরাবাজার জোনাল কমিটির সদস্য ছিলেন। এ ছাড়া তিনি কৃষকসভার বরাবাজার থানা কমিটির দীর্ঘদিনের সম্পাদক।
বরাবাজার জোনাল কমিটি ভেঙে দেওয়ার দলীয় ব্যখ্যা দিয়েছেন ওই জোনাল নির্বাচনে পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে থাকা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কৃষ্ণপ্রসাদ সিংহদেও। তিনি বলেন, “বরাবাজার জোনালের সদস্য সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছিল। জেলার আর কোনও জোনালে এত পার্টি সদস্য নেই। বহর কমানোর জন্য এই জোনাল কমিটি ভেঙে দেওয়ার জন্য আগেই দলীয় সদস্যদের কাছ থেকে প্রস্তাব এসেছিল। এ বার সেই প্রস্তাব কার্যকর করা হল।” তিনি জানান, এর ফলে পুরুলিয়া জেলায় সিপিএমের জোনাল কমিটির সংখ্যা ২১ থেকে বেড়ে ২২টি হল। বরবাজার জোনাল কমিটির সদস্য সংখ্যা ছিল ২৩ জন। নতুন দু’টি জোনাল কমিটি ১৭ জন করে সদস্য নিয়ে গঠিত হয়েছে।
দল সূত্রে জানা গিয়েছে, বরাবাজার উত্তর জোনাল কমিটিতে অর্ন্তভুক্ত হল ভাগাবাঁধ, শুকুরহুটু, ধেলাৎবামু ও বান্দোয়ান-বানজোড়া লোকাল কমিটি। বরাবাজার দক্ষিণ জোনাল কমিটিতে রয়েছে বরাবাজার, বাঁশবেড়া, তুমড়াশোল, বেড়াদা, সিন্দরি ও লটপদা লোকাল কমিটি। দল সূত্রে ব্যখ্যা, পার্টি ক্লাস, প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সম্মেলনের সময় কর্মীর আধিক্যের জন্য উপযুক্ত সভাঘর পাওয়া যাচ্ছিল না। সমন্বয়েরও সমস্যা হচ্ছিল। অনেককে যোগ্য মনে হলেও কমিটিতে জায়গা দেওয়াও যাচ্ছিল না। দু’টি জোনাল কমিটি থেকে পুরনো মুখ সরিয়ে বেশ কয়েকজন নতুন মুখ নিয়ে আসা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ওই সম্মেলনে পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় থাকা দলের রাজ্য কমিটির সদস্য মণীন্দ্র গোপ বলেন, “দলের কাজে যাঁরা বেশি সময় দিতে পারবেন, কর্মক্ষমতা রয়েছে ও এলাকায় পরিচিতি রয়েছে, তেমন নতুন মুখ কমিটিতে আনা হয়েছে। বিভিন্ন কর্মসূচিতে আরও বেশি সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করতে হবে।” |