আফগানিস্তান-১ (আরেজো)
ভারত-১ (সুনীল) |
ম্যাচের বিরতিতে দেখা হল ভারতের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর রবার্ট বানের সঙ্গে। খেলা কেমন দেখছেন বলতেই চোখমুখে একরাশ বিরক্তি নিয়ে বললেন, “দু’দলই উদ্দেশ্যহীন দৌড়াচ্ছে। প্রচুর মিসপাস করছে। ওটা না থামলে খেলা ভাল হবে না।”
ঠিকই বলেছেন বান। ক্লাইম্যাক্স-স্টিভন ডায়াস-রোকাসদের মিসপাসের সুযোগ নিয়ে ভারতের মাঝমাঠকে তছনছ করেও আফগানিস্তান একটার বেশি গোল পায়নি, কিছুটা গোলকিপার করণজিতের দৃঢ়তায়। কিছুটা আফগান ফরোয়ার্ডদের লক্ষ্যভ্রষ্টতায়। সাফ কাপে আট দেশের মধ্যে ছয় দেশেরই কোচ বিদেশি। ব্যতিক্রম শুধু আফগানিস্তান ও উদ্যোক্তা ভারত। তো দুই দেশি কোচের দলের লড়াইয়ে ভারতের চেয়ে আফগানিস্তান টিম অনেক বেশি দৌড়াল। প্রথম ম্যাচে ভারতীয় দলকে আরও ম্যাড়ম্যাড়ে দেখাল সুনীল ছেত্রী এবং জেজে-র জেটল্যাগ এখনও না কাটায়। গ্লাসগো রেঞ্জার্সে এক সপ্তাহের ফলহীন ট্রায়াল দিয়ে ফেরার চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে সুনীল-জেজে জুটি জাতীয় দলের জার্সি গায়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন। ইউরোপ থেকে ফেরার ক্লান্তি যে এখনও কাটেনি সেটা সুনীলের একমাত্র গোলটা ছাড়া বাকি খেলার মধ্যে পরিষ্কার। সুনীলদের মধ্যেই শুধু ঢিলেমি নয়, মহেশ গাউলি-গৌরমাঙ্গিদের ডিফেন্সেও অনেক ফাঁকফোকর দেখা গিয়েছে। তবু তার মধ্যেই কয়েকটা আক্রমণ থেকে গোলের সুযোগ এসে গিয়েছিল ভারতের সামনে। দু’বার ক্লিফোর্ড মিরান্ডা এবং এক বার করে সুনীল ও জেজে গোলকিপারকে একা পেয়েও হয় তাঁর গায়ে বা বাইরে মেরে সোনার সুযোগগুলো নষ্ট করেন। |
বল দখলের যুদ্ধে সুনীল ছেত্রী। ছবি: পিটিআই |
আগের দশ বারের মধ্যে ভারত ন’বারই আফগানিস্তানকে হারালেও এই আফগান টিমটা যে হেলাফেলার নয়, সেটা গতকালই বলেছিলেন স্যাভিও। তাদের আহমেদ হাটিফ্লে, মহম্মদ ইউসুফ মাসরিকি খেলেন আমেরিকায়। ওয়াহিদ আহমেদ খেলেন জার্মানিতে। স্ট্রাইকার বালাল আরেজো (আজকের গোলদাতা) খেলেন নরওয়েতে। সুতরাং বিদেশি লিগে খেলার বিচারে আফগান দল সুনীল-নবিদের চেয়ে ঢের এগিয়ে। এবং যেন সেটা প্রমাণ করতে ম্যাচের চার মিনিটেই নবিকে গতিতে পিছনে ফেলে বক্সের ডান দিক দিয়ে ঢুকে গোল দিয়ে আসেন আরেজো। করণজিতের মাথার উপর দিয়ে চমৎকার শটে। তবে গোলটা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি তারা। মিনিট ছয়ের মধ্যেই ডায়াসের কর্নারে সুনীল হেডে গোল করে সমতা ফেরান।
প্রথম ম্যাচেই আটকে গেলেও কোচ স্যাভিও মেদেইরা চিন্তিত নন। বরং তিনি মনে করেন ক্লিফোর্ডকে বক্সে আটকাতে গিয়ে আফগান ফুটবলারের হাতে যে বল লেগেছিল, সেটা রেফারি পেনাল্টি দিতে পারতেন। “ওই ঘটনায় ওদের ফুটবলারের হ্যান্ডবল হয়েছিল। রেফারি পেনাল্টি দেননি। যেটা দেওয়া উচিত ছিল।”
|
ভারত: করণজিৎ, সমীর, গাউলি, গৌরমাঙ্গি, নবি, ডায়াস (অ্যান্টনি,৬৬), ক্লাইম্যাক্স, রোকাস, ক্লিফোর্ড (লালরিনডিকা, ৮৬), জেজে, সুনীল। |