গভীর রাতে করলা নদীর জলে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল মেয়াদ ফুরানো বিভিন্ন কীটনাশক। সোমবার করলা বিষাক্ত হয়ে ওঠার পিছনে কারণ ছিল সেটাই। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে মাছের মড়ক শুরুর আগের রাতে নদী-পাড়ে দু’টি ম্যাটাডোর ভ্যানকে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছিল। সেই ম্যাটাডোর থেকে নদীতে কিছু ফেলা হয়েছে কি না এখন খোঁজ চলছে তারই।
শুক্রবার দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ নদীর জলের নমুনা পরীক্ষা করে রিপোর্টে জানায়, জলে সাত রকমের বিষাক্ত কীটনাশক রয়েছে। এবং অত্যন্ত বেশি পরিমাণে তা রয়েছে। নদীর জলে একাধিক কীটনাশক থাকার প্রমাণ পাওয়ার পরেই নতুন ভাবে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ও পুরসভা।
ওই এলাকায় নদীর পাড়ে একাধিক কীটনাশকের দোকান রয়েছে। সেই সঙ্গে করলা নদীর দু’ধারে বেশ কয়েকটি ছোট বড় চা বাগানও রয়েছে। জেরা করা হচ্ছে চা-বাগান কর্তৃপক্ষকেও। বিভিন্ন মহলে জেরা করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পুলিশের কাছে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। তবে তদন্তের কারণে দু’পক্ষই সেগুলি এখনই প্রকাশ করতে অবশ্য নারাজ। পুলিশের এক কর্তার কথায়, “নানারকম সূত্র হাতে এসেছে। সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দু একদিনের মধ্যেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।” পুর চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, “বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। এমনও হতে পারে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় এক সঙ্গে ওই কীটনাশক নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।”
শুক্রবারের মতো এ দিন করলা নদীতে তিস্তার জল ফেলা হয়। দু’জায়গায় পাম্পসেটের মাধ্যমে তিস্তা নদী থেকে জল তুলে করলায় ফেলা হয়। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্টে করলার জলকে বিষমুক্ত করার জন্য তিস্তা থেকে কিছুটা জল ছেড়ে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। |