জঙ্গি আক্রান্ত অঞ্চলে সুস্থ গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রয়াসকেই ‘মডেল’ হিসেবে দেখছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী জয়রাম রমেশ।
আজ রাঁচিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “জঙ্গি উপদ্রুত জঙ্গলমহলে গণতান্ত্রিক পরিবেশ পুনরুদ্ধারে মমতাদেবী সাহসের সঙ্গে যেভাবে পরের পর রাজনৈতিক জনসভা এবং মিছিল করেছেন, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।” তিনি মনে করেন: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সাহসী ভূমিকার জন্যই এখন জঙ্গলমহলের পরিবেশ বদলাতে শুরু করেছে। ওখানকার মানুষের ফের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আস্থা ফিরছে। এই প্রসঙ্গেই উগ্রপন্থী আক্রান্ত এলাকায় গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফেরাতে সব রাজনৈতিক দলের কাছে উপদ্রুত এলাকাগুলিতে রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরুর আবেদন জানান জয়রাম।
মাওবাদী কবলিত ঝাড়খণ্ডের সারান্ডার প্রসঙ্গ টেনে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী বলেন, “উন্নয়নমূলক কাজকর্ম তো চলবেই। সেই সঙ্গে ওই সব উপদ্রুত অঞ্চলে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলিরও একটা সদর্থক ভূমিকা থাকা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষত ঝাড়খণ্ডের পশ্চিমাংশে মাওবাদী উপদ্রুত যে সব এলাকায় সাধারণ প্রশাসন এবং রাজনৈতিক দলগুলির প্রভাব কম, সেই সব এলাকায় অবিলম্বে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু করা প্রয়োজন।
ইন্দিরা আবাস যোজনায় সাত হাজার পরিবারকে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। এর পরই প্রত্যয়ের সঙ্গে জয়রাম বলেন, “উন্নয়নের কাজে সফল হলে গোটা দেশের মধ্যে সারান্ডাও হবে আরেকটি ‘মডেল’। সেই মডেল অনুসরণ করা হবে বাংলা, ছত্তীসগঢ়-সহ দেশের অন্যান্য মাওবাদী অধ্যুষিত অংশেও।” তিনি জানান, দেশের ৬০টি মাওবাদী প্রভাবিত জেলায় উন্নয়নের কাজে ইনটিগ্রেটেড অ্যাকশন প্ল্যান (আইএপি)-র কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ টি জেলায় বিশেষ উন্নয়ন প্যাকেজ হাতে নেওয়া হবে। |