লক্ষ্য বাজারে দখল বাড়ানো। তাই দাম ও ব্যবহারের নিরিখে রকমারি গাড়ির প্রতিটি ক্ষেত্রে পা রাখতে দৌড়চ্ছে মারুতি-সুজুকি। ছোট গাড়ি বলতেই যে সংস্থাকে বোঝাত, এ বার পরিবর্তনের পথে হেঁটে দেশেই বিভিন্ন ধরনের মাঝারি ও বড় গাড়ি তৈরি করবে তারা। এ ধরনের প্রথম গাড়ি ‘আর্টিগা’ আগামী জানুয়ারিতে দিল্লির অটো-এক্সপো-য় প্রদর্শন করবে তারা।
মারুতি এর আগে দামি গাড়ি ‘কিজাশি’ ভারতের বাজারে আনলেও তা সম্পূর্ণ ভাবে আমদানি করা হয়। আর্টিগা-ই সংস্থার প্রথম ‘মাল্টি পারপাস ভেহিকল’ (এমইউভি), যা তৈরি হবে তাদের গুড়গাঁও কারখানায়।
শুধুমাত্র ছোট গাড়ির পসরা নিয়েই কিছুদিন আগেও দেশের বাজারের প্রায় অর্ধেক দখলে রেখেছিল মারুতি। কিন্তু একাধিক বহুজাতিক সংস্থার প্রতিযোগিতার মুখে পড়ে ও নিজেদের কারখানায় বারবার ধর্মঘটের জেরে তাদের বাজার দখল কমছে। আগামী দিনে আরও বেশি ক্রেতার কাছে পৌঁছতে সব ধরনের গাড়ি নিয়ে হাজির হওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েই এগোচ্ছে সংস্থাটি। এ ভাবেই ২০১৫ সালের মধ্যে ফের দেশের গাড়ি বাজারের ৫০% দখলের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তাদের।
ছোট গাড়ির চেয়ে এখন মাঝারি ও বড় গাড়ির ব্যবসার বৃদ্ধির হার বেশি। শিল্প সূত্রে ইঙ্গিত, অর্থনীতির হাল খারাপ হলে সবচেয়ে আগে কোপ পড়ে ছোট গাড়ির উপরে। বড় ও দামি গাড়ির বাজার ঋণ-নির্ভর না হওয়ায় সেই ধাক্কা সামলে নিতে পারে। এই শিল্পের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিও তাই ফের প্রমাণ করেছে।
অটো-এক্সপো-য় একটি স্পোটর্স ইউটিলিটি ভেহিকল-ও দেখাবে তারা। তবে সেটি ‘কনসেপ্ট কার’। অর্থাৎ, সেই গাড়ির মডেলের ভিত্তিতেই আগামী দিনে তৈরি হবে মূল গাড়িটি। দেশে গাড়ির মোট বাজারের প্রায় ১৫% এমইউভি-র দখলে। কিন্তু এ ধরনের গাড়ি সংস্থার ভাঁড়ারে না-থাকায় অন্য সংস্থার সঙ্গে দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে মারুতি-সুজুকি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে ইঙ্গিত, আর্টিগা-র মূল প্রতিযোগী হবে টয়োটা ইনোভা ও শেভ্রোলের টাভেরা গাড়ি দু’টি। যদিও সংস্থার দাবি, আর্টিগা কিছুটা ছোট।
অটো-এক্সপো-তে আরও ৩টি ছোট গাড়ি-সোলিও, প্যালেট ও এমআর ওয়াগন প্রদর্শন করবে সংস্থা। যদিও, এখনই গাড়িগুলি দেশে আনার পরিকল্পনা নেই। অন্য দেশে চলা এই গাড়িগুলি সম্পর্কে ভারতীয় ক্রেতাদের মতামত যাচাই করাই এর মূল উদ্দেশ্য। |