|
|
|
|
মজুরির দাবিতে বিক্ষোভ থানায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মহম্মদবাজার |
একশো দিনের কাজের প্রকল্পে মজুরির দাবিতে শুক্রবার মহম্মদবাজার থানায় ও ব্লক অফিসে বিক্ষোভ দেখালেন হেরুকা সংসদ এলাকার লোকজন। বঁটি, লাঠি নিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি তাঁরা স্মারকলিপিও দেন। এ দিন বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিল মহম্মদবাজার ব্লকের তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী। হেরুকা সংসদটি মহম্মদবাজার ব্লকের পুরাতন গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন। সিপিএম পরিচালিত এই পঞ্চায়েতে সিপিএম ৬, ফরওয়ার্ড ব্লক ২ ও কংগ্রেসের ৩টি আসন রয়েছে। প্রধান হয়েছেন সিপিএমের নাজির হোসেন এবং হেরুকা সংসদের সদস্য কংগ্রেসের মহম্মদ ফজলুল হক। |
|
ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। |
বিক্ষোভে যোগদানকারীদের মধ্যে অধিকাংশ মহিলা। ব্লক তৃণমূলের কার্যনির্বাহী সভাপতি তাপস সিংহের অভিযোগ, “হেরুকা গ্রামে এ বছর ঈদের আগে ১০০ দিনের প্রকল্পে ৭-৮ কিলোমিটার রাস্তায় মোরামের কাজ হয়। কিন্তু অধিকাংশ শ্রমিক মজুরির টাকা এখনও পাননি। আবার যাঁদের দেওয়া হয়েছে সেখানে পক্ষপাত করেছেন প্রধান ও হেরুকার সদস্য।” বিক্ষোভকারীদের পক্ষে মালতি বাস্কী, সনকা হাঁসদা, রামেশ্বর সোরেনদের দাবি, “সাত দিন কাজ করেছি। কিন্তু মজুরি পাইনি। আবার যাঁরা কাজ করেননি তাঁদের বেশি মজুরি দেওয়া হচ্ছে।” অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান নাজির হোসেন বলেন, “টাকা না থাকায় সময় মতো মজুরি দেওয়া যায়নি। যে সাতটি পয়েন্টের মধ্যে চারটি পয়েন্টের টাকা ১৫ দিন আগে এসেছিল সঙ্গে সঙ্গে হিসেব করে পোস্ট অফিসে জমা করে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ব্লক অফিসের একটি তদন্তকারী দল এ ব্যাপারে তদন্ত করতে এসেছিলেন। তাঁরা যা যা তথ্য চেয়েছেন তা দেওয়া হয়েছে।”
হেরুকার সদস্য কংগ্রেসের হেরুকার সদস্য ফজলুল হক বলেন, “পক্ষপাতের অভিযোগ ঠিক নয়। সেউ তিন কেউ ছ’দিন কাজ করেছেন। আসলে তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী চক্রান্ত করে এ সব করছে।” বিডিও সুতীর্থ দাস বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে।” |
|
|
|
|
|