দক্ষিণবঙ্গের চার জেলায় মোট ৮৮ হাজার একর জমির জন্য বোরো চাষের জল দেবে ডিভিসি। রবি চাষের জন্য সেচের জল মিলবে ৫০ হাজার একরে। সোমবার বর্ধমানের সার্কিট হাউসে বর্ধমান, হুগলি, বাঁকুড়া ও হাওড়া জেলার প্রতিনিধিদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে ছিলেন বিধানসভার কৃষি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান, ভাতারের বিধায়ক বনমালী হাজরা ও ইন্দাসের বিধায়ক গুরুপদ মেটে।
সেচ দফতরের বর্ধমান ডিভিশনের সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার অশোক ভট্টাচার্য জানান, মাইথন ও পাঞ্চেতে যথেষ্ট জল না থাকায় গত বোরো মরসুমে এই চার জেলার জন্য কোনও জলই দিতে পারেনি ডিভিসি। বোরো চাষে বিভিন্ন
|
আইন ও বিচার
মন্ত্রী মলয় ঘটক |
বছর আলাদা আলাদা এলাকা জল পায়। যে এলাকা এক বছর জল পায়, সেই এলাকা পরের বছর জল পায় না। গত বার অর্থাৎ ২০১১ সালের শুরুতে যে এলাকাগুলির জল পাওয়ার কথা ছিল, তারা ২০১২ সালের ২৭ জানুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত যে জল দেওয়া হবে, তা পাবে না। যেখানে ২০১০ সালে বোরোর জল দেওয়া হয়েছিল, সেই এলাকাগুলি এ বার জল পাবে। এই জল না মেলায় চাষিরা বিক্ষোভ দেখাতে পারেন বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। তাই ডিভিসি-র সেচখালের লকগেটগুলির উপরে বিশেষ নজরদারির কথা ভাবা হয়েছে এ দিনের বৈঠকে।
অশোকবাবু বলেন, “রবি চাষে জল দেওয়া শুরু হবে ২০ ডিসেম্বর থেকে। টানা এক মাস ধরে জল দেওয়া হবে। বর্ধমানের ২০ হাজার ও হুগলির ৩০ হাজার একর জমির জন্য মিলবে রবির জল। বোরো চাষের ৮৮ হাজার একরের মধ্যে বর্ধমান ৫৫ হাজার, হুগলি ২০ হাজার, বাঁকুড়া ১২ হাজার ও হাওড়া এক হাজার একরে জল পাবে। ২০১০ সালে বর্ধমান ৫০ হাজার একরের জন্য বোরো চাষের জল পেয়েছিল। অন্য জেলাগুলিকে এ বারের মতোই জল দেওয়া হয়েছিল।”
প্রবল বর্ষণের জন্য খরিফ চাষে এই চার জেলা ডিভিসি-র সেচের জল নিতে অস্বীকার করেছিল। তবুও বোরো চাষে বেশি জল মিলছে না কেন? অশোকবাবু বলেন, “অক্টোবরে একেবারে বৃষ্টি হয়নি। খরিফ বাঁচাতে তাই চার জেলার জন্য ডিভিসি-র দুই জলাধার থেকে সাড়ে চার লক্ষ একর ফুট জল দিতে হয়েছিল। তাই বোরোর জন্য জল বাঁচানো সম্ভব হয়নি। মাইথন ও পাঞ্চেতে আপাতত দু’লক্ষ ৬১ হাজার একর ফুট জল রয়েছে। তা দিয়েই চার জেলায় বোরো চাষ করতে হবে।” |