রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে সোমবার আইনি নোটিস পাঠালেন আইন ও বিচার মন্ত্রী মলয় ঘটক। তাঁর সম্বন্ধে উপাচার্যের মন্তব্য ‘মানহানিকর’ বলে ওই নোটিসে উল্লেখ করেছেন মন্ত্রী। যদিও উপাচার্য জানিয়েছেন, তাঁর কাছে এই ধরনের কোনও নোটিস এখনও পৌঁছয়নি।
একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ফেল করা ছাত্রীকে পাশ করানোর জন্য মলয়বাবুর নাম করে কেউ টেলিফোনে তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী সেনগুপ্ত। এই মন্তব্য ‘মানহানিকর’ বলে উল্লেখ করেই এ দিন নোটিস পাঠিয়েছেন আইন ও বিচার মন্ত্রী। মলয়বাবু সোমবার বলেন, “এক জন ফেল করা ছাত্রীকে পাশ করানোর ব্যাপারে আমার নাম জড়িয়ে দিয়েছেন উপাচার্য। তাই ওঁর কাছে নোটিস পাঠিয়েছি। উনি যদি ভুল স্বীকার করেন, তা হলে ঠিক আছে। নইলে ওঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।” সব্যসাচীবাবুর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি, সরকারি অর্থ নয়ছয়, স্বজনপোষণ ইত্যাদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে আগেই জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেই সব দুর্নীতির ব্যাপারে একাধিক তদন্ত রিপোর্ট রাজ্যপাল তথা আচার্যের কাছে পাঠানো হয়েছে। উপাচার্যকে বরখাস্তের সুপারিশ করছে রাজ্য সরকার। সোমবার রাজভবনে গিয়ে আচার্যের সঙ্গে দেখাও করেন ব্রাত্যবাবু। পরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “রাজ্যপাল জানিয়েছেন, তিনি তদন্ত রিপোর্টগুলি দেখবেন। সম্প্রতি জারি করা অর্ডিন্যান্স (বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংশোধন নিয়ে) রূপায়ণের জন্য বিধি তৈরি করার পরে উপাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন রাজ্যপাল।”
প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অবশ্য আগেই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সেই সঙ্গে প্রমাণ পেশের দাবি জানিয়ে পাল্টা চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দিয়েছেন রাজ্য সরকারের দিকে। বস্তুত, অভিযোগ খণ্ডন করতে গিয়েই তিনি জানিয়েছিলেন, ফেল করা ছাত্রীকে পাশ করিয়ে দেওয়ার জন্য সরকারি মহল থেকে তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছিল। সব্যসাচীবাবু এ দিন বলেন, “রাজ্যে শিক্ষার উন্নতি বিষয়ে আগ্রহ ছিল বলেই আইআইটি-র শিক্ষকতা ছেড়ে আমি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব নিয়েছিলাম। আমিও রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করছি। ওঁকে অনেক কিছু বলার আছে।” |