বেহাল সড়ক সারানোর দাবিতে কয়েকশো গ্রামবাসী সোমবার সকাল থেকে ৫ ঘণ্টা ধরে কানুপুর-বহুতালি রাজ্য সড়ক অবরোধ করে রাখেন। তার ফলে ওই রাস্তার দু’পারে দীর্ঘ ক্ষণ আটকে থাকে কয়েকশো বাস ও লরি। বীরভূম ও ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কপথটি ১৭ কিলেমিটার দীর্ঘ।
ওই সড়কপথ দিয়ে দৈনিক শতাধিক লরি ও বাস চলে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, অজগরপাড়া-গোঁসাইপুর থেকে হাড়োয়া পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলেমিটার রাস্তার অবস্থা খুবই বেহাল। ফলে পথ চলাই দায় হয়ে উঠেছে। গোঁসাইপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অরূপ দাস বলেন, “সড়ক লাগোয়া স্কুলে ধুলোর জন্য বসে থাকতে পারছে না ছাত্রছাত্রীরা। লরির চাকা লেগে স্কুল ঘরে ছুটে আসছে সড়কের পাথর। তিন-চার জন ছাত্রছাত্রী আহত হয়েছে।” লরি চালক গাফ্ফার শেখের অভিযোগ, “এই পথের বেহাল দশার কারণে প্রতি দিন ৭-৮টি লরি-বাস বিকল হয়ে পড়ছে। হাঁটু সমান গর্ত। ওই বেহাল রাস্তার কারণে বছর খানেকের মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে অবস্থা আরও খারাপ।” |
স্থানীয় বাসিন্দা নাজিমুল শেখ বলেন, “রাস্তা মেরামতির জন্য বহু বার বিডিও এবং পঞ্চায়েতকে জানিয়েছি। তবুও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে অবরোধের পথ নিতে হয়েছে।”
ওই রাস্তাটি পূর্ত ও সড়ক দফতরের। ওই দফতরের জঙ্গিপুরের সহকারী বাস্তুকার মসিবুল হক বলেন, “সড়কের ৪ কিলোমিটার এলাকা চলাচলের অযোগ্য। বহু জায়গায় হাঁটু সমান গর্ত। সড়কটি মেরামতির জন্য ইতিমধ্যে আড়াই কোটি টাকার টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। এক ঠিকাদার সংস্থাকে কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে।” সহকারি বাস্তুকারের অভিযোগ, “সড়কপথটি সারিয়ে আদতে কোনও লাভ নেই। কারণ ওই পথ দিয়ে মাত্রাতিরিক্ত কয়লা, পাথর ও বালি বোঝাই করে দৈনিক কয়েকশো লরি চলে। ফলে দ্রুত খারাপ হয়ে যায় ওই সড়কপথটি। ওই সড়ক দিয়ে ভারি যান চলাচল বন্ধ করার জন্য লিখিত ভাবে স্থানীয় প্রাশসনকে বলেও লাভ হয়নি।” অবরোধস্থলে যান সুতি ১ নম্বর ব্লকের যুগ্ম বিডিও সুমিত দাস। তিনি বলেন, “ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধের জন্য পুলিশ ও পূর্ত দফতরের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তার পর অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। |