ছাত্র পরিষদের সেমিনার উপলক্ষে কলেজ বন্ধ ছিল গত মঙ্গলবার। সোমবার কলেজ বন্ধ রইল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অনুষ্ঠানের জন্য। দুই ছাত্র সংগঠনের আবদার মেনে রীতিমতো নোটিস দিয়ে জঙ্গিপুর কলেজের অধ্যক্ষ কলেজ ছুটি ঘোষণা করেছেন। তার প্রতিবাদ করেছেন কলেজ পরিচালন সমিতি থেকে কলেজ ছাত্র সংসদ সকলেই। কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি সোমনাথ সিংহ রায় বলেন, “পঠনপাঠন ও কাজকর্ম শিকেয় তুলে এ ভাবে ছাত্র সংগঠনের প্রয়োজনে কলেজ অচল করা কখনও সমর্থন করা যায় না। কলেজে যা চলছে তা এক কথায় ডামাডোল ছাড়া কিছু না।” ওই কলেজের এসএফআই পরিচালিত ছাত্র সংসদের সম্পাদক দেবাশিস রায় বলেন, “দু’টি ছাত্র সংগঠনই বহিরাগতদের নিয়ে কলেজে অনুষ্ঠান করেছে। এ ধরনের অনুষ্ঠান করার জন্য শহরে অনেক জায়গা রয়েছে। এ ভাবে পঠনপাঠন বন্ধ রাখা যায় না।” তাঁর দাবি, “তা ছাড়া সোমবার প্রথম বর্ষের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। কলেজ বন্ধ থাকায় ওই ফল হাতে পায়নি ছাত্রছাত্রীরা।” |
পরিচালন সমিতির সদস্য ও স্থানীয় পুরপ্রধান মোজাহার উল ইসলাম বলেন, “এ ভাবে যখন তখন কলেজ বন্ধ করার বিষয়ে পরিচালন সমিতিতে আলোচনা করা হবে। এ জিনিস চলতে দেওয়া হবে না।” কলেজ অধ্যক্ষ আবু এল শুকরানা মণ্ডল দুই ছাত্র সংগঠনের অনুষ্ঠানের জন্য কলেজ বন্ধ থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, “অশান্তির আশঙ্কায় কলেজ বন্ধ রাখা হয়। আমি জেলার বাইরে রয়েছি। ফলে এর বেশি কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না।” গোলমালের আশঙ্কায় দু’দিনই কলেজে ছিল কড়া পুলিশি পাহারা। কলেজ বন্ধ রাখার ব্যাপারে কী বলছেন দুই সংগঠনের নেতারা? ছাত্র পরিষদের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সেমিনারের উদ্যোক্তা পলাশ সাহার কথায়, “সামজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ছাত্র সমাজের ভূমিকা নিয়ে মঙ্গলবারে আমরা সেমিনার করি। কিন্তু পঠনপাঠন বন্ধ করে দিতে বলা হয়নি। অধ্যক্ষ নিজেই কলেজে বন্ধ করেছেন আমাদেরকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিতে।” সোমবার কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অনুষ্ঠানে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য কমিটি সদস্য ফুরকান শেখ। তাঁর সাফাই, “নবাগত ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে সোমবার আমাদের ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি অনুষ্ঠান করা হয়। কিন্তু অধ্যক্ষ যে তার জন্য কলেজ বন্ধ করে দেবেন তা ভাবিনি। কলেজে বন্ধ রেখে অধ্যক্ষ ঠিক করেননি।” |