|
|
|
|
সিপিএমের ৬টি এলসি-তে নতুন সম্পাদক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
দীর্ঘ দিন ধরেই ক্ষীরপাই শহরে সদস্যদের গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠছিল। স্কুলভোট থেকে পুরভোট, বিধানসভা নির্বাচনেও দলের ফল ভাল হয়নি। তার পরেও সিপিএমের ক্ষীরপাই শহর লোকাল কমিটির সম্মেলনে সম্পাদক-সহ পুরনো সদস্যরাই কমিটিতে থেকে যাওয়ায় সম্মেলন চলাকালীনই নেতৃত্বের প্রতি শ্লোগান দিলেন সাধারণ সদস্য-প্রতিনিধিরা। এমনকী কর্মী-বিক্ষোভের মুখে সম্মেলন তাড়াতাড়ি শেষ করে দেওয়ার ঘটনাও ঘটল। দলীয় সংগঠনে রাজ্য নেতৃত্ব নতুন মুখ আনার উপরে জোর দিলেও, পশ্চিম মেদিনীপুরে সেই নির্দেশিকা তেমন গুরুত্ব পাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। চন্দ্রকোনা-১ জোনাল কমিটির অধীন ক্ষীরপাই-সহ ৭টি লোকাল কমিটির মধ্যে শুধু তাতারপুর এবং কঙ্কাবতী লোকাল কমিটির দুই সম্পাদক সরেছেন। বাকিগুলিতে রয়ে গিয়েছেন পুরনোরাই। সম্পাদকের পাশাপাশি লোকাল কমিটিগুলির সদস্যপদেও বিশেষ হেরফের হয়নি। অভিযোগ, ‘দলবিরোধী কাজ’, ‘স্বচ্ছতার অভাব’-সহ নানা রকম অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও অনেক পুরনো মুখকে রেখে দেওয়া হয়েছে। নতুনদের ঠাঁই হয়নি। ফলে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। এই অবস্থায় উচ্চতর নেতৃত্বের অনুমোদনক্রমে পরে দু’একটি নতুন মুখকে লোকাল কমিটিগুলিতে অন্তর্ভুক্ত করার কথা ভাবতে হচ্ছে জোনাল পর্যায়ের নেতাদের। চন্দ্রকোনা-১ জোনাল সম্পাদক সুনীল চক্রবর্তীর অবশ্য দাবি, “সম্মেলন শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ হয়েছে।” চন্দ্রকোনা-২ জোনাল কমিটির ৫টির মধ্যে এখনও পর্যন্ত শুধু চন্দ্রকোনা শহর লোকাল কমিটির সম্মেলনই হয়েছে। এখানেও সম্পাদক স্বপন রায়-সহ বেশির ভাগই পুরনো মুখ। পুরনো কমিটির ১০ সদস্যের মধ্যে ৩ জন অবশ্য বাদ পড়েছেন। ঘাটালের ন’টি লোকাল কমিটির সম্মেলনই শেষ হয়েছে। সম্মেলন ঘিরে ঘাটালেও নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সাধারণ সদস্য-প্রতিনিধিদের ক্ষোভ প্রকাশ্যে এসেছে। এখানে একাধিক সম্পাদক-সহ বেশ কিছু পুরনো সদস্য বাদ পড়েছেন। নতুনরা তুলনামূলক ভাবে বেশি গুরুত্ব পেয়েছেন ঘাটালে। ছ’টি লোকাল কমিটির (অমরপুর, প্রতাপপুর, কুঠিঘাট, বড়দা, বিদ্যাসাগর ও সুলতানপুরে) সম্পাদক এ বারে নতুন। বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই অবশ্য বিভিন্ন কারণে দায়িত্ব থেকে সরে গিয়েছিলেন বড়দা, বিদ্যাসাগর ও কুঠিঘাটের লোকাল কমিটির পূর্বতন তিন সম্পাদক---আনসার আলি, নন্দ লৌহ এবং আতাউল হক। নতুন সম্পাদক হয়েছেন দীপঙ্কর ঘোষ, আবদুস সামাদ এবং অনুপ কোলে। প্রতাপপুরে সুব্রত মণ্ডল, সুলতানপুরে শম্ভু মুখোপাধ্যায় এবং অমরপুরে বাঁশরি সাঁতরার জায়গায় এসেছেন সমীর হাজরা, রতন পাখিরা এবং সনৎ মণ্ডল। সম্মেলন নিয়ে জোনাল সম্পাদক অশোক সাঁতরা মন্তব্য করতে চাননি। |
|
|
|
|
|