শেষ খেলা ওয়ান ডে বলতে গত ২ এপ্রিল ওয়াংখেড়েতে বিশ্বকাপ ফাইনাল। ঠিক ২৪০ দিন পরে ফের ৫০ ওভারের ক্রিকেটে, এ বার ধোনির অনুপস্থিতিতে অধিনায়ক হিসেবে আবির্ভূত। বরাবাটিতে বসে আসন্ন ওয়ান ডে সিরিজ এবং গুরুত্বপূর্ণ অস্ট্রেলিয়া সফর নিয়ে বীরেন্দ্র সহবাগ যা যা বললেন:
|
ওয়ান ডে-তে প্রত্যাবর্তন: বিশ্বকাপ ফাইনালের পর ওয়ান ডে খেলা হয়নি। চোট ছিল, অস্ত্রোপচার করাতে হয়। অনেক দিন ক্রিকেটের বাইরে ছিলাম। এখন টেস্ট সিরিজটা খেলার পরে অনেক বেশি ফিট। রান পেতে অসুবিধে হচ্ছে না।
এই সিরিজের তাৎপর্য: সিনিয়ররা অনেকে নেই, প্রবীণ কুমারও আজ বাইরে চলে গেল। নতুনদের বুঝতে হবে, এ রকম সুযোগ বারবার আসবে না। যে সুযোগটা আসবে, সেটাকেই কাজে লাগাতে হবে। যে সবচেয়ে ভাল, সে-ই কিন্তু থাকবে। এটা বুঝতে হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ টিমটা টেস্টে প্রত্যাশার চেয়ে ভাল খেলেছে। ওদের ছোট করে দেখার কোনও কারণ নেই।
অস্ট্রেলিয়া সফর এবং ব্যাটসম্যানদের আগে যাওয়া: সরকারি ভাবে বোর্ডের বার্তা এখনও হাতে পাইনি। কিন্তু এটা ঠিক, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে আগে যেতে পারলে টিমের লাভ। ব্যাটসম্যানরা যত আগে যাবে, তত পরিবেশের সঙ্গে মানাতে পারবে, তত টিমের লাভ হবে। ম্যাচ প্র্যাক্টিস পাওয়াটা খুব জরুরি।
রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং স্পিনের ভবিষ্যৎ: এক কথায় দুর্ধর্ষ বল করেছে টেস্ট সিরিজে। ব্যাটের হাতটাও চমৎকার। দিলীপ সরদেশাই পুরস্কার সে জন্যই পাচ্ছে। সঠিক সিদ্ধান্ত। কিন্তু সামনে কঠিন অস্ট্রেলিয়া সফরে অশ্বিনকে পরীক্ষা দিতে হবে। তার পরেও ক্রমাগত পরীক্ষা দিয়ে যেতে হবে। ওকে আরও সময় দিন, এখনই ওর বিচার করবেন না।
অধিনায়কত্ব: আগেও অধিনায়কত্ব করেছি। নতুন কিছু নয়। যখন যে রকম দায়িত্ব এসে পড়ে, সেটা পালন করতে হয়। ভালই লাগে। টিমে অনেক নতুন ছেলে আছে, তাদের কাছ থেকে সেরাটা বের করে নিতে হবে।
ছোট শহরে ম্যাচ হওয়ার প্রয়োজনীয়তা: ফাঁকা মাঠে খেলতে কোনও ক্রিকেটারেরই ভাল লাগে না। চল্লিশ বা পঞ্চাশ হাজার দর্শকে ভরা স্টেডিয়ামে খেলার আনন্দই আলাদা। টেস্ট সিরিজটায় সে ভাবে লোক হয়নি। আজ প্র্যাক্টিসে প্রচুর লোক দেখলাম। আমি নিশ্চিত, কাল স্টেডিয়াম ভরে যাবে।
ওপেনার হিসেবে সঙ্গী গম্ভীর না পার্থিব: আমি নিজে ওপেন করব, এটা বলতে পারি। গৌতম যেতে পারে সঙ্গে, আবার পার্থিবও আছে। অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। |