ইঞ্জিনে আগুন, ট্রেন-বিভ্রাটে নাকাল যাত্রীরা
ঞ্জিন থেকে আগুন এবং ধোঁয়া বেরোতে দেখে ট্রেন থামিয়ে দিয়েছিলেন চালক। আগুনও নেভান। নতুন ইঞ্জিন আসে। কিন্তু প্রথম ইঞ্জিনটি-সহ ট্রেন ছাড়তে যেতেই ফের তা থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা গেল, সঙ্গে আগুনও। সোমবার দুপুরে হুগলি জেলায় হাওড়াগামী মালদহ ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের ওই ইঞ্জিন-বিভ্রাট অনেক যাত্রীর স্মৃতিতেই ফিরিয়ে এনেছে দুন এক্সপ্রেসের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ট্রেন চলাচলও ব্যাহত হয়েছে হাওড়া-বর্ধমান মেন শাখায়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, থামার কথা না থাকলেও এ দিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস পাণ্ডুয়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে। সে সময় স্টেশনে রেলের মাইকে ঘোষণা করা হয়, ‘‘ইঞ্জিনে গোলযোগ থাকায় ট্রেন ছাড়তে দেরি হবে। যাত্রীরা চাইলে অন্য লোকাল ট্রেন ধরতে পারেন।’’ ওই ঘোষণার কিছু পরে অবশ্য ট্রেনটি ফের চলতে শুরু করে। কিন্তু মগরা স্টেশনে পৌঁছনোর আগে ইঞ্জিনের নীচ থেকে প্রচুর ধোঁয়া বেরোতে থাকে। আগুনও দেখা যায়। ব্যাপারটা নজরে আসতেই চালক ট্রেনের গতি কমিয়ে দেন। ডিজেল ইঞ্জিনের ঠিক পিছনের কামরায় ছিলেন শুভদীপ মল্লিক। তিনি বলেন, “ট্রেন মগরা স্টেশনে ঢোকার আগে হু-হু করে কালো ধোঁয়া ঢুকছিল কামরায়। কিছু ক্ষণের মধ্যেই গতি কমে আসে। ট্রেন গিয়ে দাঁড়ায় আদিসপ্তগ্রাম স্টেশনে। নেমে দেখি, ইঞ্জিনের চাকার নীচের দিকে আগুন ধরেছে। ততক্ষণে ট্রেনের চালক তাঁর ক্যাবিনে থাকা আগুন নেভানোর যন্ত্র নিয়ে নেমে পড়েছেন। উনিই দ্রুত আগুন নেভান।”
জ্বলছে ইঞ্জিন। নিজস্ব চিত্র।
পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এর পরেই ট্রেনের চালক হাওড়া কন্ট্রোলে যোগাযোগ করেন। বিকল্প ইঞ্জিন আসে ভদ্রেশ্বর থেকে। ততক্ষণে ট্রেনের বহু যাত্রী লোকাল ট্রেন ধরে হাওড়ার উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছেন। পুরনো ইঞ্জিনের সামনেই নতুন ইঞ্জিন জুড়ে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ছাড়তে যেতেই ফের ‘বিপত্তি’। নতুন করে ধোঁয়া এবং আগুন বেরোতে দেখা যায় প্রথম ইঞ্জিনের তলা থেকে।
পূর্ব রেলের দাবি, ইঞ্জিনের ‘ট্র্যাকশন মোটর’-এর দু’টি অংশে ঘষা লেগে ওই সমস্যা হয়েছে। আগুন নেভানোর পরে মূল ট্রেনটিকে আদিসপ্তগ্রাম স্টেশনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। বিকল্প ইঞ্জিন দিয়ে প্রথম ইঞ্জিনটিকে ব্যান্ডেল স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। আরও একটি ইঞ্জিন পাঠিয়ে দুপুর ২টো নাগাদ ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসকে হাওড়ায় পাঠানো হয়। সেটি প্রায় আড়াই ঘণ্টা দেরিতে হাওড়া পৌঁছয়।
ওই ট্রেনের যাত্রী ছিলেন সুজয় মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আদিসপ্তগ্রাম স্টেশন ছাড়ার মুখে যে ভাবে আবার ওই খারাপ ইঞ্জিনটা থেকে ধোঁয়া আর আগুন বেরোতে দেখা যাচ্ছিল, ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। মাঝরাস্তায় ও রকম কিছু হলে কী হত, কে জানে!”
ট্রেনের আর এক যাত্রী মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের কংগ্রেস বিধায়ক আশিস মার্জিতের ক্ষোভ, “বিধায়ক হওয়ার পরে ছ’মাসের মধ্যে এই ট্রেনটাতেই নানা জায়গায় তিন বার বিভ্রাটে পড়লাম। এই ট্রেনটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রেল দফতর কেন যে ট্রেনটা ঠিক মত চালাচ্ছে না, বুঝতে পারছি না!”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.