প্রমাণ সাইজের ছানাবড়া দিয়ে আগামিকাল, বুধবার ধর্মতলার সভামঞ্চে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি নিতিন গডকড়ীকে অভ্যর্থনা জানাবেন বিজেপি কর্মীরা। ছানাবড়া-অভ্যর্থনা থেকে বঞ্চিত হবেন না বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহও।
মুর্শিদাবাদের বিজেপি কর্মীরা গডকড়ীর জন্য একটি ১১ কেজির এবং রাহুলের জন্য একটি ৫ কেজির ছানাবড়া প্রস্তুত করছেন। কাল, বুধবার ধর্মতলার সভামঞ্চে তাঁরা গডকড়ী এবং রাহুলকে ওই দু’টি দিয়েই অভ্যর্থনা করবেন। প্রসঙ্গত, মূল্যবৃদ্ধি, দুর্নীতি, সারের কালোবাজারি, কৃষকের ফসলের উপযুক্ত দাম না পাওয়া, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশ-ফেল তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে এবং বিদেশে জমে থাকা দেশের কালো টাকা ফেরত আনার দাবিতে কাল ধর্মতলায় বিজেপি-র সভা রয়েছে। সেখানে প্রধান বক্তা গডকড়ী।
তিনি ছাড়াও দলের সর্বভারতীয় নেতৃত্বের তরফে চন্দন মিত্র, সিদ্ধার্থনাথ সিংহ এবং দেবদাস আপ্টেরও ওই সভায় থাকার কথা। শরীরের অত্যধিক মেদ কমানোর জন্য অল্প কিছু দিন আগেই অস্ত্রোপচার করিয়েছেন গডকড়ী। তাতে তাঁর ওজনও বেশ কিছুটা কমেছে বলে দলীয় সূত্রের খবর। এই অবস্থায় ১১ কেজি ওজনের ছানাবড়া কি তাঁর পক্ষে খাওয়া সম্ভব? রাহুল সোমবার বলেন, “মনে হয়, ওই বিরাট ছানাবড়ার সামান্য অংশ উনি ভেঙে খাবেন।”
তিনি নিজে কি ৫ কেজির ছানাবড়া খেতে পারবেন? রাহুলের সহাস্য জবাব, “মাথা খারাপ? অত বড় খাওয়া যায়? সামান্য ভেঙে খাব। বাকিটা দলের সকলে ভাগ করে খাবেন।” তবে সর্বভারতীয় এবং রাজ্য সভাপতি খেতে পারুন বা না পারুন, তাঁদের জন্য অত বড় ছানাবড়া তৈরির যজ্ঞ যাঁরা করছেন, তাঁদের নেতাভক্তি এবং শিল্পবোধের তারিফ না করে পারছেন না বিজেপি নেতৃত্ব। রাহুলের কথায়, “অত বড় ছানাবড়া যাঁরা বানাচ্ছেন, তাঁদের প্রতিভা এবং শিল্পনৈপুণ্যের প্রশংসা করতেই হবে।” |