আলফার পরেশ-অনুগামী সংগ্রামপন্থী গোষ্ঠীর গড়া নতুন কর্মসমিতিকে ‘ভুয়ো’ বলে মন্তব্য করলেন আলোচনাপন্থী আলফা অরবিন্দ রাজখোয়া। বস্তুত এই কমিটির অস্তিত্বই স্বাকার করতে নারাজ তিনি। আজ শিলচরে রাজখোয়া সোজাসুজি বলেন, “সবটাই মিডিয়ার কারসাজি। অরুণোদয় দহোতিয়া নামে যিনি সংবাদ মাধ্যমে ই-মেল পাঠান, তিনি গুয়াহাটি থেকেই এ সব করছেন।” পরেশ অনুগামীরা রাজখোয়ার জায়গায় অভিজিৎ বর্মনকে চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে। অরবিন্দের দাবি, “ওই নামে আলফায় কোনও ক্যাডারই নেই। সবটাই ভুয়ো।’’
রাজখোয়ার বক্তব্য, স্বার্থান্বেষী একটি চক্র পরেশের নামে তোলা আদায় করছে। তারাই ভারত-অসম সংঘাতের অবসান চায় না। নিজেদের স্বার্থেই শান্তি আলোচনায় তারা নানা ভাবে বাগড়া দেওয়ার চক্রান্ত করছে। পরেশ বরুয়ার সঙ্গে সংঘাত বা সম্পর্কের প্রশ্ন পুরোপুরি এড়িয়ে গিয়ে অরবিন্দ রাজখোয়া বলেন, কোটি কোটি টাকা খরচ করেও ভারত সরকার আলফাকে ধ্বংস করতে পারেনি, এ যেমন সত্য, তেমনই তিন দশকের বেশি সময় সশস্ত্র সংগ্রাম করেও আলফা অসমের একটি জেলাকেও স্বাধীন করতে পারেনি। তাই রাজখোয়ার মন্তব্য, “ভারত-অসম দ্বন্দ্বের সামরিক সমাধান সম্ভব নয়। রাজনৈতিক পথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই এর সমাধান করতে হবে।”
আজ কাছাড় জেলায় লক্ষ্মীপুর মহকুমার কুমাছড়ায় ডিমাসা পিপলস কাউন্সিলের অধিবেশনে যোগ দিতে অরবিন্দ রাজখোয়া শিলচরে আসেনন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি মেনে চলা আর এক জঙ্গি সংগঠন ডিমা হালাম দাউগার (ডিএইচডি) চেয়ারম্যান দিলীপ নুনিসা। অধিবেশনস্থলে যাওয়ার পথে ভোরে কাছাড় জেলার খাসপুরে থাকা ডিমাসা রাজবাড়ির মন্দিরে পূজা দেন তাঁরা।
পরে কুমাছড়ার অধিবেশনে রাজখোয়া ‘ভারত-অসম দ্বন্দ্বে’র অবসানে বরাক উপত্যকার মানুষেরও সাহায্য চান। তিনি বলেন, “আলফা শুধুই অসমিয়া বা ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার মানুষের জন্য সংগ্রাম করেনি। অসমে বসবাসকারী প্রতিটি জনগোষ্ঠীর ভূমিপুত্রদের অস্তিত্ব, নিজস্ব পরিচিতি এবং অধিকারের জন্যও লড়াই করছে।” বরাক থেকেও যে বেশ ক-জন তাঁর সংগঠনে ছিলেন, সে কথার উল্লেখ করে আলফা সভাপতি বলেন, ১৯৯৪ সাল থেকে এই উপত্যকায় তহবিল সংগ্রহ অভিযান চলে। ফলে এই অঞ্চলকে বাদ দিয়ে তাঁরা কোনও মতেই অসমের উন্নয়নের কথা ভাবছেন না। |