কিষেণজির মাথার দাম বাবদ ১৯ লক্ষ টাকা পুরস্কার পাচ্ছে মাওবাদীদেরই এক জন। এ কথা জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের দাবি, সংঘর্ষের আগের মুহূর্ত পর্যন্ত তথ্য জুগিয়েছে ওই মাওবাদী। ফলে কিষেণজি কোথায় রয়েছেন, তা বুঝতে সুবিধা হয়েছে গোয়েন্দাদের। এ দিনই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব আর কে সিংহ ‘ভুয়ো সংঘর্ষের’ তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছেন।
কিষেণজি কোথায়, তা নিয়ে সিপিআই (মাওবাদী)-দের এক সদস্য খোঁজ দিয়েছে বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি। গোয়েন্দা সূত্রে এ দিন বলা হয়েছে, কিষেণজি অগস্ট থেকে জঙ্গলমহলেই ছিলেন। তাঁর ব্যাপারে খোঁজখবর জুগিয়েছে ওই মাওবাদী। গোয়েন্দা সূত্রের বক্তব্য, সে পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি বা পিএলজিএ-র সদস্য। বৃহস্পতিবার সংঘর্ষের আগে সে-ই জানায়, কিষেণজি ঠিক কোথায় আছেন। অভিযানের পরে সে সীমানা পেরিয়ে ঝাড়খণ্ডে চলে গিয়েছে।
অন্ধ্রপ্রদেশ-ছত্তীসগঢ়, দুই রাজ্যই কিষেণজির মাথার দাম ঘোষণা করেছিল। অন্ধ্রের পুরস্কার মূল্য ছিল ১২ লক্ষ টাকা। ছত্তীসগঢ়ের ৭ লক্ষ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে আজ বলা হয়েছে, “যে হেতু ওই মাওবাদীর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য থেকে কিষেণজিকে খতম করা সম্ভব হয়েছে, তাই তাকে পুরস্কার দেওয়া হবে।”
কিন্তু সেই মাওবাদী পুরস্কার নেবে কী ভাবে? সে সম্পর্কে অবশ্য মন্ত্রক নীরব। তবে অন্য মাওবাদীদের প্রতি তাদের বার্তা, “এই ধরনের সুযোগ নিয়ে যে কেউ শীর্ষ নেতাদের সম্পর্কে খোঁজখবর দিতে পারেন।”
এ দিনই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব জানান, কিষেণজিকে ভুয়ো সংঘর্ষে হত্যা করা হয়নি। তিনি বলেন, “রিপোর্ট পেয়েছি। ঠিকঠাকই সংঘর্ষ হয়েছিল।” মাওবাদী-ঘনিষ্ঠ কবি, সংস্কৃতি কর্মী থেকে শুরু করে কিষেণজির পরিবার সকলেই প্রথম দিন থেকে দাবি করছিলেন, ভুয়ো সংঘর্ষে হত্যা করা হয়েছে এই মাওবাদী শীর্ষ নেতাকে। কিন্তু স্বরাষ্ট্রসচিব এ দিন সেই বক্তব্য উড়িয়ে দিয়ে যৌথ বাহিনীর পক্ষ নিলেন। তবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তার তদন্তকারী দলকে ছ’সপ্তাহের মধ্যে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছে। কমিশনের এক মুখপাত্র জানান, কমিশনের ডিরেক্টর জেনারেল (তদন্ত)-কে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। |