রাষ্ট্রপতি প্রতিভা দেবীসিংহ পাটিলের যাত্রাপথের ধারে পড়ে ছিল
একটি ব্যাগ। আর সেই পরিত্যক্ত ব্যাগ ঘিরেই সোমবার দুপুরে হুলস্থুল কাণ্ড ঘটে গেল ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসে চিংড়িঘাটা কানেক্টরের কাছে। পুলিশ-কুকুর এসে গেল। সে বসেও পড়ল ব্যাগের কাছে। তা দেখে সন্দেহ বাড়ল পুলিশের।
বিশেষ পোশাক পরে চলে এলেন কলকাতা পুলিশের বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের কর্মীরা। পরীক্ষার জন্য ব্যাগটি অতি সন্তর্পণে নিয়ে গেল কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশ। কেউ নাশকতার জন্য ব্যাগটি রেখে
গিয়েছিল কি না, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেল পুলিশ মহলেই। |
বিস্ফোরক কি না, পরীক্ষা করছেন বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের কর্মী। নিজস্ব চিত্র |
সব সন্দেহের অবসান ঘটল সন্ধ্যায়। লালবাজারে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) জাভেদ শামিম জানালেন, ব্যাগটির ভিতরে কোনও বিস্ফোরক মেলেনি। শুধু দু’টি ফাঁকা কার্তুজ ছিল। নাশকতার আশঙ্কা কাটল।
এ দিন বেলা আড়াইটে নাগাদ ই এম বাইপাসে চিংড়িঘাটা কানেক্টরের কাছে ব্যাগটি পড়ে থাকতে দেখেন কয়েক জন যুবক। বোমাতঙ্কের সৃষ্টি হয়। ওই যুবকেরা বিষয়টি পুলিশকে জানান। বিস্ফোরক থাকতে পারে আশঙ্কা করে পুলিশকর্মীরা আর ব্যাগটিকে নাড়াচাড়া করেননি। খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডকে। আনা হয় পুলিশ-কুকুর। তত ক্ষণে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন ডিসি (উত্তর) বিশাল গর্গ-সহ কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকেরাও। এক পুলিশ অফিসার জানান, কুকুর এসে ব্যাগটি শুঁকে দেখে দাঁড়িয়ে যায়। তা দেখে সন্দেহ আরও দানা বাঁধে। তার পরে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের কর্মীরা এক্স-রে মেশিন দিয়ে ব্যাগটি আর এক বার পরীক্ষা করেন। তাতে দেখা যায়, ব্যাগটির ভিতরে তুলোয় মোড়া তিনটি বাক্স রয়েছে।
এর মধ্যেই ওই রাস্তা দিয়ে রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিলকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরের যান রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে ওই পথ ধরেই রাজভবনে যান রাষ্ট্রপতি। তত ক্ষণে পুলিশ অবশ্য নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল যে, ব্যাগে কোনও বিস্ফোরক ছিল না। |