এক কলেজ ছাত্রীর মুখে ও গায়ে অ্যাসিড ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। সাঁইথিয়ার গোবিন্দপুর গ্রামে, ময়ূরাক্ষী নদীর সাঁকোয় ঘটনাটি ঘটেছে। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই তরুণী সাঁইথিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটলেও ওই দিন রাতে তরুণী সিউড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত যুবক, সিউড়ি থানার ছোটআলুন্দা গ্রামের বাসিন্দা শেখ আনোয়াকে পুলিশ সোমবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়ূরাক্ষী ও কানা নদীর মাঝে যে ১১টি গ্রাম রয়েছে, তারই একটি হল গোবিন্দপুর। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা তরুণীটি। এ দিন সাঁইথিয়া গ্রামীণ হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে বাংলায় অনার্স নিয়ে পড়া দ্বিতীয় বর্ষের সিউড়ি কলেজের ওই ছাত্রী অভিযোগ করেন, মাস দুয়েক আগে থেকে আনোয়ার তাঁকে নানা ভাবে উত্ত্যক্ত করছেন। প্রেমের প্রস্তাবও দিয়েছেন। এক দিন রেগে গিয়ে তিনি ওই যুবককে চটি তুলে দেখান। তার পর থেকে তাঁকে উত্ত্যক্ত করার মাত্রা বাড়িয়ে দেন আনোয়ার। ওই তরুণী বলেন, “রবিবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ সাইকেলে করে পড়তে যাচ্ছিলাম। আমাদের গ্রাম থেকে নদী পারাপারের কোনও রাস্তা নেই। বালি পথ দিয়েই সাইকেলে যাচ্ছিলাম। হঠাৎই আনোয়ার মোটরবাইকে এসে আমার সাইকেলে হাল্কা ধাক্কা দেয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ও আমার মুখে আর শরীরে শিশি থেকে অ্যাসিড ঢেলে দেয়।”
তরুণীর আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে আনোয়ার পালিয়ে যান। তরুণীটির বাবার কথায়, “আমার মেয়ে নদী পেরিয়ে ইটাগড়িয়া বাসস্ট্যান্ডে যায়। সেখানে সাইকেল রেখে বাসে কলেজে বা পড়তে যায়। ইটাগড়িয়ার পরেই ছোটআলুন্দা গ্রাম। এই ঘটনার পর তো মেয়েকে পড়ানো যাবে কি না ভাবছি। ভয় হচ্ছে, ছেলেটা আরও বড় কোনও কাণ্ড না ঘটিয়ে বসে। নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি।” শেখ আনোয়ারের জামাইবাবু সামসুল হকের অবশ্য দাবি, “ওই তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল আনোয়ারের। আমার শ্যালকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।”
|