তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই সিপিএম কর্মীকে গ্রেফতার করেছে নানুর থানার পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে এক জনের বাড়ি থেকে দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র মিলেছে বলে পুলিশের দাবি। পুলিশ জানায়, ধৃত মোশা ওরফে মোশারফ শেখ এবং কপি খানের বাড়ি নানুরের পালুন্দি গ্রামে। |
নানুরে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র। ছবি: সোমনাথ মুস্তাফি। |
পুলিশ সূত্রের খবর, ২০১০-র ১৪ ফেব্রুয়ারি পালুন্দি মোড়ে খুন হন তৃণমূলের তৎকালীন নানুর ব্লক সাধারণ সম্পাদক মুন্সি নুরুল ইসলাম ওরফে সোনা চৌধুরী। একই সঙ্গে পালুন্দি গ্রাম লাগোয়া নাঠে আর এক তৃণমূল নেতা ভরত মাঝিকে খুনের চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। ওই দিন সন্ধ্যায় পুলিশ গুরুতর জখম অবস্থায় ভরতবাবুকে উদ্ধার করে। পাশাপাশি ওই দিনই গুলিবিদ্ধ হয়ে পালুন্দি গ্রামের দুই সিপিএম কর্মীরও মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য প্রথম থেকেই পুলিশের গুলিতে দুই সিপিএম কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি। সোনা চৌধুরী খুন ও ভরত মাঝিকে খুনের চেষ্টার ঘটনায় ৫২ জন সিপিএম কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে আগেই ২০ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। রবিবার রাতে পালুন্দি গ্রামের বাড়ি থেকে মোশারফ ও কপি খানকে পুলিশ ধরে। তাঁদের নামও অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মোশারফের বাড়ি থেকে একটি মাস্কেট ও একটি একনলা বন্দুক উদ্ধার হয়েছে। বাকি অভিযুক্তে রা পলাতক। এ দিন ধৃতদের বোলপুর এসিজেএম আদালতে হাজির করানো হলে ভারপ্রাপ্ত বিচারক নুরুজ্জামান আলি তাঁদের ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। |