টুকরো খবর
ন্যায্য মূল্যে ধান কেনার দাবি, বিক্ষোভ চালকলে
নিজস্ব চিত্র।
ন্যায্য মূল্যে ও সঠিক পরিমাপে ধান কেনার দাবিতে মঙ্গলকোটের কৈচরে চালকলে বিক্ষোভ দেখালেন প্রায় তিনশো চাষি। সোমবার বিকেলে বর্ধমান-কাটোয়া রাজ্য সড়কের ধারে বিক্ষোভ চলাকালীন বিডিও প্রদীপ মজুমদার-সহ অন্য আধিকারিকেরা গিয়ে সমস্যা মেটান। অশান্তি এড়াতে মঙ্গলকোট থানার পুলিশও গিয়েছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকার নির্ধারিত কুইন্ট্যাল প্রতি ১০৮০ টাকা দাম দিচ্ছিলেন না চালকল কর্তৃপক্ষ। চাষিদের অভিযোগ ছিল, শুধু সরকার নির্ধারিত দাম দেওয়া নয়, ধান কেনার সময়ে পরিমাপও কম দেখাচ্ছিলেন চালকল কর্তৃপক্ষ। সেই কারণে রবিবার বিকেল থেকে স্থানীয় চাষিরা দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। চাষি ভূমি চৌধুরী, অশোক দাসেরা বলেন, “এ দিন দুপুরে বিডিও-র সামনে চালকল মালিকের কাছে আমাদের দাবি-দাওয়া পেশ করা হয়। আপোষে আপাতত সেই সমস্যার সমাধান হয়েছে বলে মনে করছি আমরা।” বিডিও বলেন, “সমস্যার কথা শুনে এলাকায় গিয়েছিলাম। দু’পক্ষের সঙ্গেই কথা বলেছি। সরকারি নির্দেশ মেনে কাজ করতে বলা হয়েছে।”

ভর্তি নিয়ে সমস্যা, বিক্ষোভ কলেজে
বি কম প্রথম বর্ষে ভতির্র্ হওয়া দুই ছাত্রের ভর্তি বাতিল নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে বর্ধমান রাজ কলেজে। অধ্যক্ষের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে তাঁদের ভর্তি বাতিল বলে জানানো হয়েছে। অন্য দিকে, এই নির্দেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করার দাবিতে সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থকেরা দুই ছাত্র সোমনাথ দে ও অরিন্দম ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে প্রায় দু’ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখেন অধ্যক্ষকে। বিভোক্ষকারীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী প্রথম বার ভর্তির চার বছরের মধ্যে কোনও ছাত্র নিজের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে ফের প্রথম বর্ষে ভর্তি হতে পারেন। কলেজের অধ্যক্ষ সুভাষচন্দ্র নন্দীর অবশ্য দাবি, “ওই দুই ছাত্রের উচিত ছিল বি-কম ফাইনালে এ বারের ফল প্রকাশ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পরে নতুন করে প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া। কিন্তু তাঁরা আগেই ভর্তি হয়ে গিয়েছেন। তবে কী ভাবে তাঁদের আগে ভর্তি করা হল তা নিয়ে তদন্ত হবে।” জানা গিয়েছে, ওই দুই ছাত্র ২০০৮ সালে কলা বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু প্রথম বর্ষের পরীক্ষা দেওয়ার আগেই তাঁরা পড়া ছেড়ে দেন। এর পরে তাঁরা চলতি বছরে ফের বাণিজ্য বিভাগে পড়ার জন্য ভর্তি হন। বিক্ষোভকারীদের হুমকি, অবিলম্বে ওই দু’জনকে নতুন করে ভর্তি নেওয়া না হলে প্রয়োজনে আদালতেও যাবেন তাঁরা।

কেতুগ্রামে স্কুলে জয়ী কংগ্রেস
স্যার আশুতোষ মেমোরিয়াল ইনস্টিটিউশন পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে ছ’টি আসনেই জিতলেন কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীরা। রবিবার কেতুগ্রামের ওই স্কুলে পরিচালন সমিতির নির্বাচনে সিপিএম এবং তৃণমূলও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। প্রসঙ্গত, কেতুগ্রাম বিধানসভা এ বছর তৃণমূলের দখলে এসেছে। কিন্তু এই স্কুলে তৃণমূল ভোটের নিরিখে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এ প্রসঙ্গে কেতুগ্রাম ২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি বিকাশ মজুমদারের অভিযোগ, “কেতুগ্রাম পঞ্চায়েত কংগ্রেসের দখলে। প্রলোভন দেখিয়ে ভোট পেয়েছে ওরা।” সিপিএমের কেতুগ্রাম ২ লোকাল কমিটির সম্পাদক তমাল মাঝিও একই রকম অভিযোগ করেন। কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি অরবিন্দ সেন এবং পঞ্চায়েত প্রধান টুটুল মুন্সীরা অবশ্য পাল্টা বলেন, “ওঁরা এ সব বলে মানুষকে অপমান করছেন।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.