|
|
|
|
এফসিআই গুদামে চুরি, ধৃত নৈশপ্রহরী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
চুরি আটকাতে যাঁদের পাহারার কাজে নিয়োগ করা হয়েছিল, তাঁদের বিরুদ্ধেই চুরির অভিযোগ উঠল। রবিবার ভোরে এই ঘটনা ঘটল মেদিনীপুর শহরের এফসিআই গুদামে। চুরির অভিযোগে দুই নৈশপ্রহরী সঞ্জয় নন্দী ও স্বপন বেরাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে দু’বস্তা চালও। স্থানীয়দের অভিযোগ, নৈশপ্রহরীদের সঙ্গে গুদামের কিছু কর্মীরও যোগসাজশ রয়েছে।
এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি এফসিআইয়ের ডিপো ম্যানেজার নবীন কুমার। কোতয়ালি থানার আইসি পবিত্র বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। এর সঙ্গে আর কারা জড়িত তা-ও খতিয়ে দেখা হবে।” |
|
দুই প্রহরীকে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র। |
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এ দিন ভোরে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন রাঙামাটির বাসিন্দা সন্ধ্যা দাস। তখনও ভোরের আলো ফোটেনি। অস্পষ্ট আলোয় তিনি দেখেন, দু’জন দুটি চালের বস্তা নিয়ে পালাচ্ছে। তিনি চিৎকার করতেই বস্তা দু’টি ফেলে দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে চোরেরা। স্থানীয় বাসিন্দারা এসে ধরে ফেলে তাদের। দেখা যায়, চোর বলে যাদের ধরা হয়েছে, তারা আসলে গুদামেরই নৈশপ্রহরী। গুদামটি ২০ নম্বর ওয়ার্ডে পড়ে। তৃণমূল কংগ্রেসের ২০ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি শ্যামসুন্দর পোদ্দার থানায় লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ দু’জনকেই গ্রেফতার করে।
এখন প্রশ্ন, কী ভাবে চাল বাইরে বেরলো। এফসিআই গুদামে ঢুকতে গেলে রয়েছে প্রধান দরজা। ভেতরে এক একটি গুদামে থাকে চাল। প্রতিটি গুদামই তালাবন্ধ থাকে। যার তালা থাকার কথা ডিপো ম্যানেজারের কাছে। তা সত্ত্বেও কিভাবে চালের বস্তা তালাবন্ধ গুদাম থেকে বেরলো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা রাজু মান্নার অভিযোগ, “ডিপো ম্যানেজারের সঙ্গে দুষ্কৃতী ও নৈশরক্ষীদের একটা অশুভ আঁতাত রয়েছে। তার জেরেই এই চুরি সম্ভব হয়েছে। আমরা তো ভোরের দিকে ২ বস্তা চাল দেখেছি। সারা রাতে কত বস্তা চাল বেরিয়েছে বা প্রতি দিন কত বস্তা চাল এ ভাবে চুরি যায় কে জানে!” বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনে নামারও হুমকি দিয়েছে তৃণমূল। |
|
|
|
|
|