জমির আলপথে পড়ে ছিল একটি ময়াল। বাসিন্দাদের কাছে খবর পেয়ে সেই সাপটিকে উদ্ধার করলেন বনদফতরের কর্মীরা। রবিবার সকালে হুড়া থানার পুরপবাইদ গ্রামের ঘটনা। হুড়ার বিট অফিসার দেবাশিস ভঞ্জ বলেন, “ময়াল সাপটি সুস্থ ছিল। প্রায় সাড়ে ৯ ফুট দৈর্ঘ্যের সাপটির ওজন ৯ কেজি ৬০০ গ্রামে। উদ্ধার করার পরে সাপটিকে স্থানীয় রাকার জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।”বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা জমিতে যাওয়ার পথে সাপটি তাঁদের নজরে আসে। সাপটি এক জায়গাতেই ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা বঙ্কিম সিং সর্দার বলেন, “সাপটি অনেক ক্ষণ ধরে এক জায়গায় পড়েছিল। সাপটিকে কেউ মারধর করেনি। বন দফতরকে উদ্ধার করে নিয়ে যেতে বলা হয়।” বমকর্মীরা জানিয়েছেন, লোকালয়ে সাপ দেখে অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ইট-পাটকেল ছোড়েন, লাঠি গিয়ে পেয়ান। ওই গ্রামের বাসিন্দারা তা না করে ভাল কাজ করেছেন। হুড়ার বিট অফিসার জানিয়েছেন, “বন্য জন্তুদের অকারণে মারা যে ঠিক নয়, এই সচেতনতা ক্রমশ গড়ে উঠছে।”
|
ফের আঘের আতঙ্ক দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবায়। রবিবার দুপুরে বাঘ দেখা গিয়েছে বলে আতঙ্ক ছড়ায় গোসাবার অ্যানপুরে। গ্রামবাসীরা জানান, পিরখালির জঙ্গল থেকে বেরিয়ে পিরখালি নদী পেরিয়ে একটি বাঘ গ্রামে ঢুকে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অ্যাসিস্টান্ট ফিল্ড ডিরেক্টর অঞ্জন গুহ বলেন, “ওই এলাকায় বাঘ ঢুকেছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। বনকর্মীদের পাঠানো হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে গ্রামের জঙ্গলের দিকটি নাইলনের জাল দিয়ে ঘিরে ফেলার ব্যবস্থা হয়েছে। আলো এবং রাত পাহারারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোসাবারই জেমসপুরে বাঘ ঢুকেছে বলে গ্রামবাসীরা জানিয়েছিলেন। খবর পেয়ে বনকর্মীরা যান। কিন্তু বাঘটির কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। |