দলমার দামালদের তাণ্ডব চলছেই। শনিবার রাত থেকে ফের গোয়ালতোড় ও চন্দ্রকোনা রোড ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে ২০টি হাতির একটি পাল। হাতির পালটি রবিবার তিনটি দলে ভাগ হয়ে ওই দু’টি ব্লকের অন্তত ১০-১৫টি গ্রামে ঢুকে ধান ও অন্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। নষ্ট করেছে ৮টি মাটির বাড়ি। এলাকার একটি প্রাথমিক স্কুলের দরজা-জানালাও ভেঙে দিয়েছে। দফতরের মেদিনীপুর বিভাগের ডিএফও আশিস সামন্ত বলেন, “দফতরের কর্মীরা হাতিদের গভীর জঙ্গলে পাঠানোর চেষ্টা করছে। বর্তমানে পালটি চন্দ্রকোনা রোডের ঘাটমুড়া জঙ্গলে রয়েছে।”
দিন সাতেক আগেই দলমা থেকে আসা প্রায় ৩০টির বেশি একটি হাতির পাল গোয়ালতোড়ের শিউলি, ঘোষকিরা, ভেদুয়া, কেতাড়া-সহ অন্তত ২০টি গ্রামে ঢুকে একরের পর একর ধান ও সব্জি নষ্ট করেছিল। পালটি তিনটি দলে ভাগ হয়ে তিন দিন ধরে তাণ্ডব চালায়। পরে গ্রামবাসীরাই পালটিকে গোয়ালতোড়ের নয়া বসত রেঞ্জের একটি গভীর জঙ্গলে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। এর মধ্যে বেশ কিছু হাতি দলছুট হয়ে যায়। রয়ে যায় ৮-১০টি হাতি। রবিবার ফের ময়ূরঝর্ণা থেকে ১০টির মতো হাতি নতুন করে ওই পালে এসে তাণ্ডব শুরু করে।
দু’টি ব্লকের আলমপুর, ছোটতারা, সুকনাডিহি, কেউলি-জামবনি, পাতুরিয়া, লক্ষণপুর-সহ প্রায় ১০-১৫টি গ্রামে বিঘার পর বিঘা জমির ধান পায়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে। বেশ কয়েক একর সদ্য লাগানো সব্জির চারা নষ্ট হয়েছে। ৮টি মাটির বাড়ি ছাড়াও ওই হাতির পাল পাতুরিয়া প্রাথমিক স্কুলের দরজা-জানালা ভেঙে দেয়। প্রধান শিক্ষক বিপ্লব পান্ডে বলেন, “বিষয়টি লিখিত ভাবে বন দফতরে জানানো হয়েছে।” |