জোট নিয়ে জটিলতার ছায়া এ বার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাতেও। দিল্লিতে থাকা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুষ্ঠানে ডাকা হয়নি ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প মন্ত্রী কংগ্রেস নেতা মানস ভুঁইয়াকে। তাঁকে না জানিয়ে তাঁর দফতরের একটি আলোচনা সভাও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ না করলেও রাজ্যের ক্ষুদ্র শিল্প নিয়ে নিজের সাংবাদিক সম্মেলন বাতিল করে দিয়েছেন মানসবাবু।
এ বছর আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার থিম ‘ভারতীয় হস্তশিল্পঈশ্বরপ্রদত্ত হাতের জাদু’। রাজ্যের হস্তশিল্পকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরতে দিল্লি আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। কিন্তু দিল্লিতে সে সময়ে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও ২৪ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য এখনও আমন্ত্রণ পাননি ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। থিম হস্তশিল্প হওয়ায় পশ্চিমবঙ্গ প্যাভিলিয়নে সব থেকে বেশি (৩৮টি) স্টল দিয়েছে মানসবাবুর দফতর।
তা সত্ত্বেও তাঁকে আমন্ত্রণ না জানানোর পিছনে কি কোনও রাজনীতি রয়েছে?
এই প্রশ্নের কোনও জবাব দিতে চাননি মানসবাবু। আজ তিনি বলেন, “রবিরার রাত পর্যন্ত আমার কাছে কোনও আমন্ত্রণ আসেনি। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।”
রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগে জানানো হয়েছিল, ২৩ নভেম্বর দুপুরে ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পের উপর একটি আলোচনা সভাও হবে। সেই মতো মানসবাবুর দফতর থেকে রেসিডেন্ট কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু সেই আলোচনা সভা যে হচ্ছে না, তা আজ জানিয়ে দেন রেসিডেন্ট কমিশনার ভাস্কর খুলবে। তিনি বলেন, “মানসবাবু উপস্থিত থাকবেন বলে শুনেছি। কিন্তু কোনও আলোচনা সভা হচ্ছে না।”
কেন হচ্ছে না তা নিয়ে অবশ্য কিছু বলতে চাননি খুলবে। এ দিকে ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প দফতরের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে দিল্লিতে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করতে চেয়েছিলেন মানসবাবু। পরে তিনি তা বাতিল করে দেন। তার কারণ হিসাবে মানসবাবু শুধু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নিজে উপস্থিত থাকছেন।
তাই আমি আমার সাংবাদিক সম্মেলন বাতিল করে দিলাম।”
তবে মানসবাবু জানিয়ে দিয়েছেন, যে হেতু তিনি মন্ত্রী, তাই কর্মীদের মনোবল বাড়াতে ২৩ তারিখ তিনি পশ্চিমবঙ্গ প্যাভিলিয়নে যাবেন। স্টলগুলি কেমন হয়েছে ঘুরে দেখবেন। কথা বলবেন শিল্পীদের সঙ্গেও। |