|
|
|
|
|
এক ঝলকে... |
পৃথিবী
৩১ জুলাই - ৬ অগস্ট |
|
কায়রো ব্যাঙ্কক দামাস্কাস বেজিং কাঠমাণ্ডু |
|
• দড়ি ধরে মারো টান... হোসনি মুবারক এখনও খানখান হননি, তবে ত্রিশ বছর প্রেসিডেন্ট থাকার পর গণ অভ্যুত্থানের চাপে গদিচ্যুত হয়ে তিনি একটি খাঁচার মধ্যে আদালতে উপস্থিত হবেন, এ দৃশ্য মিশরের মানুষ ভাবতেও পারেননি। তাঁর সঙ্গে আদালতে এসেছিলেন দুই ছেলে, আলা ও গামাল। প্রতিবাদীদের গুলি করে মারার অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে। মুবারক সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অবশ্য দেশ জুড়ে মুবারক-ভক্তেরও অভাব নেই। ছবিতে তার দৃষ্টান্ত, কায়রোর রাস্তায়! • প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের কাছে পৌঁছচ্ছে একের পর এক ভর্ৎসনা। ব্রিটেন, ফ্রান্স, আমেরিকা, এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের। হাজার দুয়েক নিরীহ অ-সামরিক সিরীয় মানুষকে হত্যা করে বিক্ষোভ বাগে আনার প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা করছেন সকলে। দাবি উঠছে, আসাদ যেন এক্ষুনি গদি ছাড়েন। • চিন জাপানের তীব্র ঝগড়া চলছে পূর্ব চিন সাগরের দখল নিয়ে। দু’পক্ষই দু’পক্ষকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছিল এত দিন। কিন্তু এ বার আর হুমকি নয়। চিন সত্যিই নৌবহর পাঠিয়ে দিল চিন সাগরে, উত্তর কোরিয়ার কূল বরাবর। জাপান বেশ উদ্বিগ্ন।
• দলাই লামার প্রতিনিধি নেপালে পৌঁছলে তাঁকে গ্রেফতার করা হল। চিনের নির্দেশে সাংবাদিক সম্মেলন থেকেই তাঁকে তুলে নিয়ে গেল নেপালি পুলিশ। তিব্বতের ধরমশালায় নতুন প্রধানমন্ত্রী শপথ নেওয়ার আগেই এই উদ্বেগজনক ঘটনা। |
• বয়স ৪৪। সুন্দরী। বিদুষীও। চিয়াংমাই ইউনিভার্সিটি থেকে বিএ, কেন্টাকি থেকে এমএ। তার পর বিজনেস এক্সিকিউটিভ হিসেবে দাদার সহকারী। এ বার সেই দাদা (প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী) থাকসিন শিনাবাত্রারই রাজত্বের হাল ধরতে রঙ্গমঞ্চে অবতীর্ণ ইংলাক শিনাবাত্রা। দেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন। বিপ্লবধ্বস্ত শ্যামদেশে শান্তি ফিরবে? |
|
প্যারিস |
পুরো নাম মানুয়েল আন্তোনিয়ো নরিয়েগা মোরেনো। বয়স সাতাত্তর। ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৯ মধ্য আমেরিকার পানামায় সর্বপ্রকার কুকীর্তির এক অসামান্য অধ্যায় রচনা করেছিলেন এই সামরিক শাসকটি। প্রথমে ওয়াশিংটন তাঁর পাশে ছিল, পরে সরে যায়। অবশেষে মার্কিন বাহিনীই তাঁকে উৎখাত করে। আর্থিক দুর্নীতি, চোরাকারবার, মাদক চালানের অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর বিচার হয়। কুড়ি বছর জেল খাটেন। ২০১০ সালে তাঁকে আনা হয় ফ্রান্সে, সেখানে আবার বিচার, আবার জেল। এ বার ফরাসি সরকার স্থির করেছে, তাঁকে স্বদেশে প্রত্যর্পণ করা হবে। আশির দশকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে তাঁর বিচার হবে সেখানে। সঙ্গের ছবিটি সেই দশকেরই। |
ওয়াশিংটন |
দোর্দণ্ডপ্রতাপ ছিলেন তিনি। আর এখন? নিজের পুরনো পদ থেকে অপসৃত তো বটেই, ইরাক যুদ্ধে নানাবিধ আতিশয্যের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে দেশবাসীর জনমত মোটেই ভাল নয়। তবে তাঁর মধ্যেও নিশ্চয়ই এতটা আশঙ্কা করেননি ডোনাল্ড রামসফেল্ড (ছবি)। এক প্রাক্তন মার্কিন সেনা তাঁকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চলেছেন। অভিযোগ, তাঁকে অন্যায় ভাবে বাগদাদে নয় মাস বন্দি রাখা হয়েছিল, অত্যাচারিত হতে হয়েছিল রামসফেল্ডের হুকুমে। প্রেসিডেন্ট ফোর্ড থেকে প্রেসিডেন্ট জর্জ ডবলিউ বুশ অনেক বিখ্যাত জমানাতেই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী থেকেছেন এই রামসফেল্ড। ঘটনা হল, আমেরিকার সবচেয়ে তরুণ প্রতিরক্ষামন্ত্রীও তিনি (ফোর্ডের সময় তাঁর বয়স ৪৩), সবচেয়ে প্রবীণ প্রতিরক্ষমন্ত্রীও তিনি (বুশের সময়ে ৭৪)। এ বার কী আছে তাঁর ভাগ্যে, দেখা যাক। |
ওয়াশিংটন |
পঞ্চাশ বছর পূর্তির জন্মদিনটা আনন্দ করে কাটবে, তা নয়। ওবামার বিধি বাম। দিন কাটল গালমন্দ কুড়িয়ে। মার্কিন সেনেট ঋণ বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছে, ফলে দেশ এক্ষুনি দেউলিয়া হচ্ছে না। কিন্তু প্রেসিডেন্টের ওপর চটেছেন তাঁর দলের লোকেরাই। এক পয়সা কর না বাড়িয়ে সরকারি খরচ কমানোর সিদ্ধান্ত? এ তো রিপাবলিকানদের চাপের মুখে পরাজয়। কট্টর রিপাবলিকানরা বলছেন, এমন চাপের জন্য তৈরি থাকুন প্রেসিডেন্ট। ৫০ বছরের জন্মদিনটি মনখারাপেই কাটল। জন্মদিনের পরই আরও খারাপ খবর। ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি ‘স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুয়োর’স’ আমেরিকার ক্রেডিট রেটিং এক ধাপ নামিয়ে দিল, এই প্রথম বার AAA রেটিং হারাল আমেরিকা। আপাতত সে AA+. এই দুঃসময়ে মাদাম ত্যুসোর মিউজিয়মে ওবামার মূর্তিতে জন্মদিনের টুপি! |
ইসলামাবাদ |
পাকিস্তানে বসে আরামসে ভারতীয় টিভি? সেটি হচ্ছে না। পাক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী জানিয়েছেন, কোনও ভারতীয় চ্যানেলকে (বা কোনও বিদেশি চ্যানেল যারা ভারতীয় অনুষ্ঠান দেখায়) পাকিস্তানে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। তবে কি পাকিস্তান ‘সাঁস-বহু’র আনন্দ থেকে বঞ্চিতই থাকবে? পুরোপুরি নয়। সে দেশের ২৩টি বেসরকারি চ্যানেলে ভারতীয় অনুষ্ঠান দেখা যায়, আইনতই। ভাগ্যিস! |
শেষ পাত |
মার্সিডিসটিকে পার্ক করে সেলুনে ঢুকেছিলেন ভদ্রলোক। ‘নো পার্কিং’ ছিল, কিন্তু অমন তো থাকেই। কেশবিন্যাস সেরে ফুরফুরে মেজাজে বেরিয়েই চক্ষু চড়কগাছ। সাধের গাড়িটির ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে। এগিয়ে এলেন শহরের মেয়র। তিনিই একটি সাঁজোয়া গাড়ি দিয়ে মার্সিডিসটি ভেঙেছেন। উষ্ণ করমর্দন করে মহানাগরিক বললেন, ‘আর কখনও যেখানে সেখানে গাড়ি পার্ক করবেন না, কেমন?’ পুরো ব্যাপারটার ভিডিয়োও তুলিয়ে নিয়েছেন তিনি, এ বার সেটির প্রচার হবে। যদি নাগরিকদের কু-অভ্যাস কমে! না, মেয়রের নাম শোভন চট্টোপাধ্যায় নয়, আর্তুরাস জুয়োকাস। স্থান: লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াস। |
|
|
|
|
|