|
|
|
|
দাবি-সনদকে পরেশ বললেন ‘আপসনামা’ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
কেন্দ্রের কাছে রাজখোয়াদের জমা দেওয়া ১২ দফার দাবি-সনদকে ‘আপসনামা’ বলে বক্রোক্তি করলেন আলফার সেনাধ্যক্ষ পরেশ বরুয়া। আবার স্পষ্ট হয়ে গেল শান্তি উদ্যোগের গোটা প্রক্রিয়াকেই কোনও গুরুত্ব দিতে নারাজ সংগ্রামপন্থী আলফা।
দিল্লিতে কাল আলফা সভাপতি অরবিন্দ রাজখোয়ার নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় কমিটির সাত সদস্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমের কাছে ১২ দফা দাবি-সনদ জমা দিয়ে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। রাজখোয়া ও আলফার বিদেশ সচিব শশধর চৌধুরি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা ভারত থেকে অসমকে বিচ্ছিন্ন করতে চান না। সার্বভৌমত্বের দাবি থেকেও সরে এসেছে আলোচনাপন্থী আলফা। রাজখোয়াদের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে পরেশপন্থী আলফার তরফে আজ এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আলফার জমা দেওয়া তথাকথিত দাবি-সনদ আসলে ভারত সরকারের গোয়েন্দাদের নির্দেশে, বিতর্কিত বিশিষ্টজনদের নেতৃত্বে বানানো এক আপসনামা।
পরেশের অভিমত, ৩২ বছরের লড়াই ও ১৩ হাজার শহিদের আত্মবলিদান অগ্রাহ্য করে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের দাবি ছেড়ে দিয়ে ভুল করেছেন রাজখোয়া। পরেশপন্থী আলফার বক্তব্য, অসম-ভারত সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের জন্য তারা সর্বদা রাজি, তবে তার জন্য কোনও মেকি দাবি-সনদের প্রয়োজন নেই। কাল দিল্লিতে রাজখোয়া বলেছিলেন, ‘পরেশ আলোচনার বিরোধিতা করেননি।’ আজ, ই মেলে সাফ জানানো হয়েছে, পরেশ বরুয়া সংগ্রামের পথেই চলবেন।
আজকের বিবৃতিতে প্রফুল্ল মহন্তর নেতৃত্বে আসু ও অসম চুক্তিরও সমালোচনা করা হয়। বলা হয়, প্রফুল্ল মহন্তর নেতৃত্বে আসুর সংগ্রাম অসমের মানুষকে একদা আশার আলো দেখিয়েছিল। কিন্তু রাজনৈতিক ক্ষমতার টোপ দিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করিয়ে আন্দোলনকে শেষ করে দিয়েছিল ভারত সরকার। এ বারও ঠিক সে ভাবেই আলফার নেতৃত্বকে প্ররোচিত করে আরও একটি ঐতিহাসিক ভুলের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
পরশের বকলমে, লেফটেন্যান্ট অরুণোদয় দহোটিয়া বলেন, “দলের অন্য সব শীর্ষ নেতা লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেও আমরা সংগ্রামের পথ ছাড়ব না। পথভ্রষ্ট, নীতি-আদর্শকে বিসর্জন দেওয়া রাজখোয়াদের আর আমরা বৈধ নেতৃত্ব বলে স্বীকার করি না। যখনই সংগঠন দুর্যোগের মুখোমুখি পড়েছে, নেতৃত্বের একাংশ আপস করতে চেয়েছে। দৃঢ় নেতৃত্বের অভাবেই জাতীয় মুক্তি সংগ্রাম নিজ লক্ষ্যে উপনীত হয় নি। কিন্তু আমরা প্রয়োজনে মৃত্যুশয্যা থেকেও অসমের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করব।” |
|
|
|
|
|