|
|
|
|
কেন্দ্রের জমি বিল |
ভাগচাষি, বর্গাদারদের রক্ষাকবচ চায় সিপিএম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
জমি অধিগ্রহণের ফলে কেবল কৃষিজমির মালিক নয়, খেতমজুর, বর্গাদার, পাট্টাদারদেরও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও জীবনযাপনের উপযোগী পুনর্বাসনের সুযোগ নিশ্চিত করতে চায় সিপিএম। এই মর্মে শনিবার কলকাতায় সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে একটি নোট পেশ করা হয়েছে। ওই নোটে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার ১৮৯৪ সালের জমি অধিগ্রহণ আইন পরিবর্তনের জন্য যে বিল পেশ করতে চলেছে, তা ‘নীতিগত’ ভাবে সিপিএম সমর্থন করে। কিন্তু গরিব প্রান্তিক কৃষক, খেতমজুর, বর্গাদার, পাট্টাদারদের স্বার্থ সুরক্ষিত করার ‘রক্ষাকবচ’ বিলে থাকা উচিত। দলিল নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। আলোচনা শেষে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বামেরা প্রয়োজনে সংসদে বিলের উপরে সংশোধনী পেশ করবেন।
নতুন বিলের খসড়ায় কেন্দ্রীয় সরকার জমি অধিগ্রহণের পাশাপাশি পুনর্বাসনের বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিয়েছে জানিয়েও দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, “ভারতের সর্বত্র কৃষকদের আর্থিক ও সামাজিক অবস্থা এক নয়। উত্তর ভারত বা দক্ষিণে এক জন কৃষক অনেক বড় জোত বা জমির মালিক। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে, যেখানে ভূমি-সংস্কার হয়েছে, সেখানে অধিকাংশ কৃষকই অল্প জমির মালিক। পাট্টাদার, বর্গাদার বা খেতমজুরের সংখ্যা বেশি। তাই এমন বিলের প্রয়োজন, যাতে সকলের স্বার্থ সুরক্ষিত হয়। জমি অধিগ্রহণের পরেও জমির সঙ্গে যুক্ত মানুষ জীবনযাপনের মতো উপযুক্ত পুনর্বাসন পান।” কেন্দ্রীয় কমিটির এক সদস্যের কথায়, “আমরাই ভূমিসংস্কার করে গোটা দেশকে পথ দেখিয়েছিলাম। এখন সংসদে আমাদের ভূমিকায় স্পষ্ট হতে হবে যে, আমরা গরিব কৃষকের স্বার্থ রক্ষার পক্ষে।” আর সেলিমের কথায়, “উন্নয়নের জন্য জমি অধিগ্রহণ করতে হতে পারে। কিন্তু তাতে জমির মালিক থেকে আরম্ভ করে ভাগচাষি-সহ প্রত্যেকের অংশীদারিত্ব নিয়ে কেন্দ্রীয় বিলে সুস্পষ্ট উল্লেখ থাকতে হবে।” সিপিএম মনে করছে, উদার অর্থনীতির ফলে বহুজাতিক সংস্থা ও বৃহৎ পুঁজি জমি, খনি ও জল নিয়ে অবাধে বাণিজ্য করার চেষ্টা করছে। তাদের আশঙ্কা, নতুন বিলে জমির মালিকের স্বার্থের পাশপাশি বৃহৎ পুঁজির স্বার্থও দেখবে কেন্দ্রের ইউপিএ সরকার। সেক্ষেত্রে গরিব ও প্রান্তিক চাষিরা যাতে বঞ্চিত না হন, সেই লক্ষ্যেই প্রয়োজনে বিলের উপরে সংশোধনী পেশ করবে বামেরা। |
|
|
|
|
|