|
|
|
|
|
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় |
বাধা থাকলেও কাজ চলবে, বললেন সুগত
নিজস্ব সংবাদদাতা |
|
প্রেসিডেন্সির উন্নয়নের পথে বাধা আসাটা মোটেই অপ্রত্যাশিত নয় বলে জানালেন মেন্টর গ্রুপের চেয়ারম্যান সুগত বসু। তবে সে সব ‘বাধা’কে তাঁরা বিশেষ আমল দিচ্ছেন না বলেও শনিবার জানিয়েছেন তিনি। এ দিন প্রেসিডেন্সিতে আর এক দফা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তিনি। তার পরেই সুগতবাবু পরিষ্কার বলেন, “জানাই ছিল, বাধা আসবে। এবং সেই বাধা টপকেই মেন্টর গ্রুপ তার লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে।”
কয়েকটি বিষয়ে তাড়াহুড়ো করে স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রম চালু করা, ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্নাতকোত্তরে ৫০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ, পিএইচ ডি চালু করা এই রকম নানা বিষয় নিয়ে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নন মেন্টর গ্রুপের সদস্যেরা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তগুলিতে আপত্তি জানিয়ে উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছেন প্রেসিডেন্সির কাউন্সিলেরই অন্যতম সদস্য তথা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসও। এরই মধ্যে প্রেসিডেন্সির পরিকাঠামোর নানা দিক খতিয়ে দেখতে শনিবার আরও একবার সেখানে যান মেন্টর গ্রুপের প্রতিনিধিরা। কাজকর্মের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথাবার্তায় সুগতবাবু পরিষ্কার বুঝিয়ে দেন, মুখ্যমন্ত্রী যে দায়িত্ব তাঁদের দিয়েছেন, সেই কাজ তাঁরা সময় মতো শেষ করবেন। এ মাসের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।
এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা ঘুরে দেখেন মেন্টর গ্রুপের কয়েক জন। সুগতবাবু ছাড়াও সেই দলে ছিলেন ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি-র অর্থনীতির অধ্যাপক অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির এমেরিটাস অধ্যাপক সুকান্ত চৌধুরী। অভিজিৎবাবু অর্থনীতি বিভাগ ঘুরে দেখেন, ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং অল্প সময়ের জন্য ক্লাসও নেন। সুকান্তবাবু কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার পরিদর্শন করেন। প্রেসিডেন্সির মূল ভবনটি ঐতিহ্যবাহী। তার সেই মর্যাদা বজায় রেখে কী করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান বাড়ানো যায়, তা নিয়েও এ দিন আলোচনা হয়েছে বলে চেয়ারম্যান জানান। কিন্তু কথায় কথায় যদি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতের ফারাক দেখা দেয়, তা হলে প্রেসিডেন্সির উন্নয়নই কি হোঁচট খাবে না? সপ্রতিভ সুগতবাবু বলেন, “সকলেই জানেন, বাধা থাকবে। কেউ মনে করেননি যে পথে কোনও বাধা আসবে না।” কিন্তু মেন্টর গ্রুপ সেই বাধা টপকে এগিয়ে যাবে বলেই এ দিন ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। চেয়ারম্যান বলেন, “উৎকর্ষ ফিরিয়ে আনার কাজটাই চ্যালেঞ্জের। সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েই কাজটা করতে হবে।” পরে হিন্দু হস্টেল পরিদর্শনেও যান তিনি। আবাসিকেরা বাথরুম, খাবার, পানীয় জল ইত্যাদি বিষয়ে নানা অভিযোগ জানান সুগতবাবুকে। তিনি বলেন, “হিন্দু হস্টেলের পরিকাঠামো অনেক উন্নত করা দরকার। প্রেসিডেন্সির ছাত্রী হস্টেলের আবাসিকদের সঙ্গে কথা বলে ওঁদেরও বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনেছি। সেগুলি সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় সুপারিশ করা হবে।” |
|
|
|
|
|