ব্যাঞ্জন রন্ধন
শীত এ বার গিয়েও যেন ঠিক যাচ্ছে না! বসন্ত পঞ্চমীতে তার হাল্কা স্পর্শ নিয়েই বাংলা বলে উঠবে— জয় জয় দেবী, চরাচর সারে...
শুধু মন্ত্রই নয়, খিচুড়ি-লাবড়ায় আটকে না থেকে পাতেও পড়বে শীতের নানাবিধ টাটকা সব্জি, অবশ্যই সরস্বতীকে উত্সর্গ
করে। শুক্ল পক্ষের বসন্ত পঞ্চমীতে কী ভাবে ব্যান্নন আপনার স্বাদবদল করতে পারে তারই কিছু আভাস এ বারের সংখ্যায়।

শুকনো ফুলকপির পাতুরি
উপকরণ

ফুলকপি: ১টা (বড়) আলু: ২টো জিরে-আদাবাটা: ২চা-চামচ
হলুদ গুঁড়ো: ১ চা-চামচ লঙ্কাগুঁড়ো: পরিমাণ মতো
ঘি: ২ চা-চামচ গোটা গরমমশলা: ২ গ্রাম
নুন-চিনি: স্বাদমতো তেল: ৩ পলা
গোটা মৌরি: ১/২ চা-চামচ


প্রণালী

ফুলকপি ছোট টুকরো করে নুন হলুদ মাখিয়ে রোদে শুকিয়ে নিন।
গরম জলে ফুলকপি সামান্য ভাপিয়ে রাখুন।
আলু ডুমো করে কেটে তেলে ভেজে নিন।
কড়াইতে তেল গরম করে গোটা গরমমশলা ফোড়ন দিন।
সুগন্ধ বেরলে আদা-জিরেবাটা দিয়ে কষে নিন।
লঙ্কা, হলুদ, নুন-চিনি দিয়ে সামান্য নেড়ে নিন।
ফুলকপি দিয়ে ভাল করে নেড়ে মশলাসমেত তুলে রাখুন।
কড়াইতে ঘি গরম করে মৌরি ফোড়ন দিন।
সুগন্ধ বেরলে মশলামাখা ফুলকপি, আলু দিন।
আঁচ কমিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন। মাঝে মাঝে নেড়ে নেবেন।
তেল ভেসে এলে নামিয়ে পরিবেশন করুন।
শুকনো ফুলকপি ও গোটা গরমমশলা একটা বয়ামে রেখে দিতে পারেন।
এতে যখনই ফুলকপি খেতে ইচ্ছে করবে তখনই রান্না করে নিতে পারবেন।

দই সজনে
উপকরণ
সজনে ডাঁটা: ৪টে দই: ৪ চামচ আলু: ২টো
কাশ্মীরি লঙ্কাগুঁড়ো: সামান্য হলুদগুঁড়ো: ১ চা-চামচ
সরষে, আদাবাটা: ১ চামচ নুন-চিনি: স্বাদমতো তেল: পরিমাণ মতো

প্রণালী
সজনে ডাঁটা ভাপিয়ে নিন।
গরম তেলে সরষে ফোড়ন দিয়ে আলু নেড়ে নিন।
ভাপানো ডাঁটা এবং সব মশলা দিয়ে নেড়ে সামান্য জল ও দই মেশান।
আলু সিদ্ধ হয়ে ফুটে উঠলে নামিয়ে চেরা কাঁচালঙ্কা দিয়ে পরিবেশন করুন।

বাহারি করলা
উপকরণ
করলা: ৪টে লঙ্কাগুঁড়ো ও ধনেগুঁড়ো: দেড় চা-চামচ মেথিগুঁড়ো: ১ চা-চামচ
নুন, গুড়, হিং: স্বাদ মতো জিরে: আধ চা-চামচ তেল: ৩ টেবল-চামচ
তেঁতুলের কাথ: ২ চা-চামচ ধনেপাতা: সাজানোর জন্য জল: ১ কাপ

প্রণালী
করলার বীজ বের করে অল্প ভাপিয়ে ভেজে রাখুন।
তেঁতুলের কাথে সব মশলা ও গুড় মিশিয়ে ভাজা করলায় এই তেঁতুলের মিশ্রণটি ভরে রাখুন।
কড়াইতে করলাগুলো দিয়ে জল ও গুড় দিয়ে অল্প আঁচে ঢেকে রাখুন।
সিদ্ধ হলে নামিয়ে ধনেপাতা দিন।
 
লাউফুলের অম্বল
উপকরণ
লাউ: ২ কাপ (কুচানো) পাকা কুল: ১০-১২টা চিনি: আধ কাপ অথবা গুড়: আন্দাজ মতো
সরষের তেল: ২ চামচ সরষে: ফোড়নের জন্য নুন: স্বাদ মতো হলুদ: অল্প জল: পরিমাণ মতো


প্রণালী
কড়াইতে গরম তেলে সরষে ফোড়ন দিন।
তার পর কুচানো লাউ দিন।
একটু নেড়েচেড়ে নুন, হলুদ ও পরিমাণমতো জল দিয়ে আঁচ কমিয়ে দিন।
লাউ সিদ্ধ হলে এ বার কুল দিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন।
কুল সিদ্ধ হলে চিনি দিন।
ফুটে উঠলে নামিয়ে নিন।
কুচানো আদা বা ধনেপাতা দিতে পারেন।

পালং চিংড়ির মিলিঝুলি

উপকরণ
পালং পাতা: ৭-৮টা চিংড়ি মাছ: ৫০০ গ্রাম(মাঝারি সাইজের) কাঁচালঙ্কা: ৩টে
পেঁয়াজ কুচি: ১ টেবলচামচ রসুন কুচি: ১ চা-চামচ হলুদ অল্প
ধনেপাতা কুচি: ১/২ চা-চামচ নুন: স্বাদ মতো


প্রণালী
পালং পাতা পরিষ্কার করে ধুয়ে গরম জলে ভাপিয়ে নিন।
চিংড়ি মাছে হলুদ মাখিয়ে কিছু ক্ষণ রাখুন।
প্যানে অল্প তেল গরম হলে চিংড়ি ভেজে নামিয়ে নিন।
ভাজা চিংড়ি, পালংপাতা, পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচালঙ্কা একসঙ্গে বেটে নিন।
বাটা চিংড়ির সঙ্গে ধনেপাতা মিশিয়ে বা উপর থেকে ছড়িয়ে দিন।
চাইলে পুরো মাখাটা তেলে সামান্য নেড়ে নিয়েও পরিবেশন করতে পারেন।


নিমপাতার চপ
উপকরণ
সিদ্ধ আলু: ২টো ভাজা নিমপাতা: ১০টা লেবুর রস: ১ চা-চামচ
গোলমরিচগুঁড়ো: ১ চা-চামচ কর্নফ্লাওয়ার, ময়দা: ২ চা-চামচ
তেল, বিটনুন, চাটমশলা, ভাজা জিরেগুঁড়ো: ১ চামচ


প্রণালী
আলু চটকে নিয়ে গুঁড়ো মশলা দিয়ে মাখুন।
এর মধ্যে ভাজা নিমপাতা ভরে বলের মতো করুন।
ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার জল দিয়ে গুলে নুন, গোলমরিচ গুঁড়ো মেশান।
ব্যাটারে ডুবিয়ে বলগুলো ভেজে চাটমশলা ছড়িয়ে দিন।

পালং সন্দেশ
উপকরণ
ক্ষোয়া ক্ষীর: ২৫০ গ্রাম পালং শাক: ৩/৪ বাটি চিনি: ২০০ গ্রাম


প্রণালী

পালংশাক পরিষ্কার করে বেছে ৩ মিনিট গরম জলে ফুটিয়ে নিন।
জল ফেলে দিয়ে পালংশাক বেটে নিন।
প্যান গরম করে ক্ষোয়া ক্ষীর, চিনি ও পালংশাক দিন ও অনবরত নাড়ুন।
ভাল করে মিশে গেলে আঙুল দিয়ে দেখুন, সন্দেশের পাক পুরোপুরি তৈরি হয়েছে কি না।
ক্ষীর ও পালংশাকের মিশ্রণ নামিয়ে পাক ঠান্ডা করে নিন।
হাতে ঘি মাখিয়ে নিন যাতে ক্ষীরের পাক আপনার হাতে লেগে না যায়।
এবার ক্ষীর ও পালংশাকের পাক ছোট বাটির আকারে গড়ে নিন।
চেরি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে পারেন।
সৌজন্য: সানন্দা
 
রোজের আনন্দবাজারএ বারের সংখ্যাসংবাদের হাওয়াবদল • আপনার রান্নাঘরস্বাদবদল চিঠিপুরনো সংস্করণ