|
|
|
|
স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সুদে ভর্তুকি বাড়ানোর পরিকল্পনা রাজ্যের
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
রাজ্যের পাঁচটি জেলায় অনগ্রসর মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য এ বার ব্যাঙ্ক ঋণের সুদের উপর ভতুর্কি বাড়ানোর চিন্তা করছে রাজ্য সরকার। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে মাত্র এক শতাংশ সুদে ব্যাঙ্ক ঋণ পাবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি। শনিবার লালগড়ে ‘মুক্তিধারা’ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা করেন স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি দফতরের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো।
এ দিন দুপুরে লালগড় ব্লক-অফিস প্রাঙ্গণে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে বিনপুর-১ (লালগড়) ও ঝাড়গ্রাম ব্লকের মোট ৪৭টি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হাতে প্রশিক্ষণের শংসাপত্র ও ভাতা এবং ব্যাঙ্কঋণের অঙ্গীকারপত্র তুলে দেন মন্ত্রী। ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি বিভাগের সচিব আরিজ আফতাব, জেলাশাসক গুলাম আলি আনসারি প্রমুখ। |
মহিলাদের হাতে ঋণের কাগজ তুলে দিচ্ছেন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো।—নিজস্ব চিত্র। |
এ দিন শান্তিরাম মাহাতো বলেন, “রাজ্যে ১২ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। অথচ ঋণপ্রাপ্ত গোষ্ঠীর সংখ্যা ৬ লক্ষেরও কম। যে উদ্দেশ্য নিয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়া হয়, এখনও অধিকাংশ গোষ্ঠী সেই লক্ষ্যপূরণ থেকে দূরে রয়েছে।” মন্ত্রী জানান, রাজ্যের ৫টি জেলায় (পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম ও কোচবিহার) স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি ৭ শতাংশ সুদে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেতে পারে। এ জন্য সরকার সুদের উপর প্রয়োজনীয় ভর্তুকি দিয়ে থাকে। সময়মতো ঋণ পরিশোধ করলে দ্বিতীয় পর্যায়ে মাত্র চার শতাংশ সুদে গোষ্ঠীগুলি ঋণের সুযোগ পায়। কিন্তু অনেক গোষ্ঠীই এ সব তথ্য জানে না। রাজ্য সরকার এবার সুদে ভতুর্কির হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকারি স্তরে আলোচনা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে ওই পাঁচটি জেলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি আগামী দিনে মাত্র এক শতাংশ সুদে ব্যাঙ্ক ঋণ পাবেন। ‘মুক্তিধারা’ প্রকল্পটি মুখ্যমন্ত্রীর ‘ড্রিম প্রজেক্ট’। এর আগে এর আগে পুরুলিয়া জেলায় মুক্তিধারা প্রকল্প চালুর ফলে সেখানকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি যথেষ্ট উন্নতি করেছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দু’টি ব্লকে ‘মুক্তিধারা’র পাইলট প্রজেক্ট রূপায়িত করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। এর মধ্যে বিনপুর-১ (লালগড়) ব্লকের রামগড় ও লালগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩৬টি এবং ঝাড়গ্রাম ব্লকের পাটাশিমুল ও সাপধরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে।
গত ৬-২০ ফেব্রুয়ারি ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠীভুক্ত মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এর পর জেলা গ্রামীণ উন্নয়ন নিগম (ডিআরডিসি)-এর মাধ্যমে গোষ্ঠীগুলিকে সর্বনিম্ন এক লক্ষ টাকা করে ব্যাঙ্ক-ঋণ পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। ওই টাকায় ধানচাষ, সব্জিচাষ, মুড়ি ভেজে, ছাগ-পালন করে কিংবা মুরগি-খামার করে দরিদ্র মহিলাদের আয়ের পথ সুগম করা হবে। |
|
|
|
|
|