ভাগ্য আর ডুডুতেই বধ মহমেডান

সালগাওকর ১ (ডুডু)
মহমেডান ০
রপর দু’টো ম্যাচে দু’গোল। এবং তাতেই কলকাতার দুই প্রধান ধরাশায়ী। শেষ কবে কোনও বিদেশি ফুটবলার এরকম ঘটনা ঘটিয়েছেন মনে করা যাচ্ছে না। ডুডু ওমাবেমি কিন্তু সেটাই করে দেখালেন।
করিম বেঞ্চারিফার টিমের পর, শিল্ডজয়ী সঞ্জয় সেনের টিমও নাইজিরিয়ান স্ট্রাইকারের কাছে তিন পয়েন্ট খুইয়ে ফেলল। ফিনল্যান্ডে কয়েক সপ্তাহ আগে প্রচণ্ড ঠান্ডায় খেলে আসা নাইজিরিয়ান স্ট্রাইকার ম্যাচের পর বলে দিলেন, “যে কাজের জন্য আমাকে আনা হয়েছে সেটা করতে পারছি বলে ভাল লাগছে।”
ডুডু যখন তাঁর টিমকে নিয়ে উৎসবে ভাসছেন তখন মহমেডানে চলছে আফশোস। শিল্ড জয়ের উৎসবে বিভোর সাদা-কালো সমর্থকরা যে একটু আনন্দ-উৎসব করবেন তার উপায় নেই। সপ্তাহ ঘুরতেই আই লিগে ফের অবনমনের আতঙ্ক তাড়া করতে শুরু করল মহমেডানকে। কিছু দিন আগেই যে সমর্থকরা যুবভারতীতে কাঁধে তুলে নাচাচ্ছিলেন নবি-মেহরাজদের, শনিবার তাঁরাই প্রবল অসন্তুষ্ট একই মাঠে টিমকে সুযোগ নষ্টের খেসারত দিতে দেখে। কোচ সঞ্জয় সেন অবশ্য অবনমন নিয়ে চিন্তিত নন। বলে দিলেন, “আমরা অবনমনে পড়ব না। টিম যা খেলছে তাতে আমি খুশি। শুধু গোলটা করতে পারছে না। সেটা হয়ে যাবে। আমরা জয়ে ফিরবই।”

সেই মুহূর্ত। মহমেডানের বিরুদ্ধে ডুডুর গোল।
প্রথমে জোসিমার আর নবিকে সামনে রেখে আক্রমণ সাজিয়েছিলেন মহমেডান কোচ। কিন্তু নবিকে ব্যবহার করেও গোলের মুখ খুলতে পারেনি মহমেডান। যেটা পেরেছে ডেরেক পেরেরার ছেলেরা। অ্যাটাকিং থার্ডই দু’দলের পার্থক্য গড়ে দেয় এ দিন। সালগাওকরের দুই বিদেশি ডুডু ও ডাফির মধ্যে যে বোঝাপড়াটা ছিল মহমেডানের আক্রমণে সেই ঝাঁঝ ছিল না।
থার্ডম্যানে ডাফির বল ছাড়া দৌড় মহমেডান রক্ষণকে ধাঁধায় ফেলে দেয়। সাদা-কালোর লুসিয়ানো তাঁকে কভার করতে গেলে সেই সুযোগে মহমেডান রক্ষণের ফাঁকা অঞ্চল ব্যবহার করে ছোবল মারার চেষ্টা করছিলেন ডুডু। প্রথমার্ধের মাঝামাঝি অসাধারণ মুভমেন্টে শেষ পর্যন্ত গোয়ার ক্লাবকে এগিয়ে দেন ডুডু-ই। ডানদিকে ডাফির বল ছাড়া দৌড় সামলাতে লুসিয়ানো এগিয়ে যান। তখন ফ্রান্সিস বল তুলছেন দেখে মহমেডান গোলবক্সের দিকে চোরা গতির দৌড় শুরু করেন ডুডু। মেহরাজ তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। শেষ পর্যন্ত দু’জনের দৌড় শেষ হয় গোলপোস্টে। ততক্ষণে জালে বল জড়িয়ে গিয়েছে।
প্রথমার্ধে সালগাওকর প্রাধান্য নিয়ে খেললেও দ্বিতীয়ার্ধে কিন্তু দাপট ছিল মহমেডানেরই। প্রকৃত স্ট্রাইকারের অভাব আর জোসিমারের গোল নষ্টের ধারাবাহিকতা এ দিনও বজায় থাকায় স্কোরলাইনে আঁচড় কাটতে পারেনি মহমেডান। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে নবিকে নীচে এনে জাপানি তারোকে নামান মহমেডান কোচ। তাতেও লাভ হয়নি।

ডুডুকে আটকানোর ব্যর্থ চেষ্টা।
সালগাওকরের দুর্বল জায়গা ছিল দুই স্টপার চিকাওয়ালি আর অগাস্টিন ফার্নান্ডেজ। কিন্তু তাকে ব্যবহারই করতে পারল না মহমেডান। জোসিমারদের ব্যর্থতার জন্যই। ভাগ্যও সঙ্গ দেয়নি এ দিন নবিদের। মহমেডানের অন্তত চারটি শট পোস্টে লাগে। গোলের পর ডুডুর আরও একটা গোলার মতো শট পোস্টে লাগে। ফিরতি বলে প্রতিআক্রমণে উঠে আসেন নবি। পাস দেন ইজরায়েল গুরুংকে। কিন্তু তাঁর শটও পোস্টে লেগে ফেরে। ঠিক তার পিছনেই ছিলেন জোসিমার। গুরুং নিজে শট না মেরে জোসিমারকে পাস করলে গোল হতেও পারত। এ ছাড়াও দ্বিতীয়ার্ধে প্রচুর সিটার নষ্ট করেন ইজরায়েল এবং জোসিমার। মণীশ মৈথানির হেডও লাগে ক্রসবারে।
১৫ ম্যাচে মহমেডানের পয়েন্ট এখন ১৩। তালিকায় সব শেষে থাকা রাংদাজিদের থেকে এক পয়েন্টে এগিয়ে নবিরা। দ্বিমুকুট জেতার পরও আই লিগে অবনমন বাঁচানো কিন্তু কঠিন হয়ে যাচ্ছে পেন-জোসিমারদের।

মহমেডান: ব্যারেটো, মেহরাজ, ফুলচাঁদ (তারো), লুসিয়ানো, কলিন, ইসফাক, মণীশ, পেন, গুরুং, নবি, জোসিমার।

ছবি: উৎপল সরকার।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.