|
|
|
|
গেলেন না দশ জনপথে, দর কষছেন চন্দ্রশেখর
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি
২২ ফেব্রুয়ারি |
পৃথক তেলঙ্গনা গঠনের জন্য সংসদে বিল পাশ হতেই এ বার কংগ্রেসের সঙ্গে রাজনৈতিক দর কষাকষিতে নেমে পড়লেন কে চন্দ্রশেখর রাও। কংগ্রেসের সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতার ব্যাপারে অন্ধ্রপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক দিগ্বিজয় সিংহের সঙ্গে ইতিমধ্যেই একপ্রস্ত বৈঠক করেছেন চন্দ্রশেখর। শুরু করে দিয়েছেন দর কষাকষি। এমনকী, সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় স্থির করেও শেষ পর্যন্ত দশ নম্বর জনপথে আজ যাননি চন্দ্রশেখর। উল্টে তিনি আজ জানান, কংগ্রেসের সঙ্গে মিশে না গিয়ে তাঁর দল তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস) আপাতত জোট গড়তে পারে। এ ব্যাপারে দলের নেতাদের মত নিচ্ছেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে এ দিন দিগ্বিজয় বলেন, “চন্দ্রশেখর কথা দিয়েছিলেন কংগ্রেস তেলঙ্গনা গঠন করে দিলে তিনি তাঁর দলকে কংগ্রেসের সঙ্গে মিশিয়ে দেবেন। এখন সে কথা ভুলে গেলে সেটা দুর্ভাগ্যজনক।” তবে চন্দ্রশেখরের ঘনিষ্ঠ সূত্রে বলা হচ্ছে, কংগ্রেসের সঙ্গে মিশে যাওয়ার পথ এখনও খোলাই রেখেছে টিআরএস। কিন্তু চন্দ্রশেখর চাইছেন নতুন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হতে। সেই সঙ্গে ছেলে কে টি রামচন্দ্র রাওয়ের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎও সুনিশ্চিত করতে চাইছেন তিনি। কংগ্রেস রাজ্য নেতৃত্ব কিন্তু চন্দ্রশেখরকে সহজে সব ছেড়ে দেওয়ার পক্ষপাতী নন। তাঁদের বক্তব্য, তেলঙ্গনার সিংহভাগ সাংসদ-বিধায়কই কংগ্রেসের। কংগ্রেস না চাইলে এখনই পৃথক রাজ্য তৈরি করাও সম্ভব নয়। তাই মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা রাজ্য স্তরে আলোচনার মাধ্যমেই স্থির করতে হবে। সেই সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে আসনের ভাগ- বাঁটোয়ারা নিয়েও এখনই আলোচনা হওয়া প্রয়োজন।
তবে জোট হোক বা মিশে যাক, এ বার অন্তত কংগ্রেসের সঙ্গেই থাকার সম্ভাবনা টিআরএস-এর। পঞ্চদশ লোকসভায় তেলঙ্গনার ১৭ জন সংসদের মধ্যে ১১ জনই কংগ্রেসের। তেলঙ্গনা রাজ্য গঠনের পর সেখানে কংগ্রেসের অবস্থান আরও মজবুত হওয়ার সম্ভাবনা। টিআরএস-এর কাছে রয়েছে মাত্র ২ জন সাংসদ। তাঁদের এক জন, বিজয়াশান্তি আবার কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে দিয়েছেন ইতিমধ্যেই। ফলে লোকসভা ভোটে চন্দ্রশেখররা একা লড়লে বিশেষ সুবিধা করে উঠতে পারবেন বলে মনে করছেন না অন্ধ্রের নেতারা। বস্তুত কংগ্রেস নেতৃত্বও চন্দ্রশেখরকে এটাই বোঝাতে চাইছেন। কংগ্রেস নেতৃত্বের আশা, চন্দ্রশেখর কংগ্রেসের সঙ্গে মিশে গেলে তেলঙ্গনার সব ক’টি আসনই তাঁদের দখলে আসতে পারে। কংগ্রেসের কাছে এ বার যেটা খুবই জরুরি। |
|
|
|
|
|