বিশেষ মর্যাদার দাবিতে ঝাড়খণ্ডেও বনধ

২২ ফেব্রুয়ারি
সীমান্ধ্রের জন্য বিশেষ মর্যাদা ও বিশেষ আর্থিক সহায়তার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত কার্যত প্যান্ডোরার বাক্স খুলে দিয়েছে। লোকসভা ভোটের আগে প্রায় দাবানলের মতোই এই দাবি ছড়িয়ে পড়ছে রাজ্য থেকে রাজ্যে।
বিহারের জন্য একই রকম দাবি তুলে পয়লা মার্চ বিহার বনধের ডাক দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার স্বয়ং। আজ সেই ডাক থেকে সরে না এসে এক দিন পিছিয়ে দিয়ে বিহার বনধ ডাকা হয়েছে দোসরা মার্চ। একই দাবিতে বিহার বিজেপিও মাঠে নেমে পড়েছে, ২৮ মার্চ রেল রোকোর ডাক দিয়েছে তারা। আজ ঝাড়খণ্ডের জন্য একই মর্যাদার দাবি জানিয়ে দোসরা মার্চ, রবিবারই ঝাড়খণ্ড বনধেরও ডাক দিয়েছে অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (আজসু)। তাতে সামিল হতে চলেছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলিও।
ঝাড়খণ্ড সেখানেই থেমে থাকেনি। সীমান্ধ্রের সম-মর্যাদা দাবি করে আজ রাজ্য বিধানসভায় সরব হন বিরোধী বিজেপি, জেভিএম, আজসু। তার বিরোধিতা করেনি শাসক দল জেএমএম বা কংগ্রেস। সামনেই লোকসভা ভোট। ভোট বড় বালাই। সুতরাং শাসক দলও এই নিয়ে একটি সর্বদলীয় প্রস্তাব নেওয়ার বিরোধিতা করেনি। ঠিক হয়েছে ঝাড়খণ্ড বিধানসভার চলতি অধিবেশনেই এই দাবি নিয়ে একটি সর্বদলীয় প্রস্তাব গ্রহণ করিয়ে তা কেন্দ্রের নতুন সরকারের কাছে পাঠানো হবে।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার দ্বিতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজ্যের জন্য বিশেষ মর্যাদা ও আর্থিক সহায়তা দাবি করে আন্দোলনে গিয়েছে। কয়েক মাস আগে, তখনও বিজেপি-র সঙ্গত্যাগী নীতীশের প্রতি আগ্রহী ছিল কংগ্রেস। সেই সুবাদেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তাঁর তৎকালীন অর্থনৈতিক উপদেষ্টা রঘুরাম রাজনের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেন। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দায়িত্ব নেওয়ার আগেই রাজন তাঁর রিপোর্ট সরকারের কাছে জমা দেন। সেই রিপোর্টে সামগ্রিক ভাবেই দেশের সমস্ত রাজ্যকে আর্থিক সঙ্গতি অনুযায়ী কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। বিহার, ঝাড়খণ্ড-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যকে সব থেকে পিছিয়ে পড়া হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। প্রাথমিক ভাবে নীতীশ কেন্দ্রের এই প্রয়াসকে স্বাগত জানালেও শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস নীতীশে আগ্রহ হারানোয়, কেন্দ্রও বিষয়টি নিয়ে আর উচ্চবাচ্য করেনি। ভোটের বাজারে নতুন করে নীতীশ এই দাবিকে হাতিয়ার করে তুলছিলেন।
এর মধ্যেই সংসদে তেলেঙ্গানা বিলের অনুমোদন ও সীমান্ধ্রের বিশেষ মর্যাদা প্রদান সার্বিক ভাবে বিষয়টিকে একেবারে সামনে এনে ফেলেছে। রাজ্যে রাজ্যে ভোটের মুখে রাজনৈতিক দলগুলির, বিশেষ করে আঞ্চলিক দলগুলির কাছে এই বিশেষ মর্যাদা ভোটের হাতিয়ার হয়ে উঠতে চলেছে। উল্লেখ্য, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কও আগেই তাঁর রাজ্যের জন্য বিশেষ মর্যাদা ও বিশেষ আর্থিক সহায়তা দাবি করে রেখেছেন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.