অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খিচুড়ি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল শিশু ও গর্ভবতী মহিলা-সহ প্রায় ৫০ জন। খাতড়া ব্লকের নিমডিহা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মঙ্গলবারের ঘটনা। তাঁদের খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খাতড়া হাসপাতালের সুপার রমেশ কিস্কু বলেন, “৩৬ জন শিশু ও ৮ জন গর্ভবতী মহিলা হাসপাতালে ভর্তি হয়। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।” তাঁর মতে, “প্রাথমিক ভাবে অনুমান, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বিশদে জানতে আরও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।”
খাতড়ার ভারপ্রাপ্ত বিডিও দীপক মাইতি বলেন, “নিমডিহা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে বিলি করা খিচুড়ি খেয়ে বেশ কিছু শিশু ও গর্ভবতী মহিলা বাড়িতে বমি করেন। কয়েকজনের মাথাব্যথা ও বমি হয়।” খবর পেয়ে ওই গ্রামে যান সুসংহত শিশুবিকাশ প্রকল্পের খাতড়া ব্লক আধিকারিক (সিডিপিও) রাণু চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “কী ভাবে ওই খিচুড়ি খেয়ে শিশু ও গর্ভবতী মহিলারা অসুস্থ হয়ে পড়লেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এলাকায় একটি মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে।”
গ্রামবাসী কমল রায়, লিপিকা মণ্ডলদের দাবি, “ওই খিচুড়ি রান্নার সময় নিশ্চয় কোনও ভাবে বিষক্রিয়া হয়েছে। তাই খিচুড়ি খাওয়ার পরে এতগুলো শিশু এবং গর্ভবতী মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়লেন।” এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, শিশুরা এই খাবার খাচ্ছে, অথচ রান্নার সময় যে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, সেটা এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নেই বললেই চলে। তাই এ দিন খাবার নিয়ে ওই বিপত্তি ঘটল।
খাতড়ার সিডিপিও অবশ্য দাবি করেন, “রান্নার সময় সতর্ক থাকার জন্য অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ জন্য প্রতি মাসে কর্মী, সহায়িকা এবং সুপারভাইজারদের নিয়ে বৈঠক করা হয়। তারপরেও এ ব্যাপারে কারও গাফিলতি রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী দিপালি রায়ের দাবি, “সব রকম সতর্কতা নিয়েই রান্না করা হয়েছে। তারপরেও কী করে ওঁরা অসুস্থ হয়ে পড়লেন জানি না।” |