রোগী মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির নালিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
চিকিৎসা গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখালেন মৃতের আত্মীয়রা। মঙ্গলবার দুপুরে ডেবরা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিকেল পর্যন্ত ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য আধিকারিককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ চলে। আসে পুলিশ। রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গে আলোচনায় বসেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা না ঘটার প্রতিশ্রুতি দিলে বিক্ষোভ ওঠে। এ দিন দুপুর ২টো নাগাদ শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হন বালিচকের রঘুনাথচকের দুলাল পাল(৫২)। তাঁকে দেখেন চিকিৎসক বিভাস বলরাম দেবনাথ। কিন্তু মিনিট দশেকের মধ্যেই মারা যান দুলালবাবু। অভিযোগ, হাসপাতালে আনার সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসা শুরু হয়নি। খালি সিলিন্ডার থেকে অক্সিজেন দেওয়া হয়। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক রজত পাল বলেন, “চিকিৎসায় গাফিলতি হয়নি। তবে অক্সিজেন দ্রুত দেওয়ার কথা ভুলে গিয়েছিলেন চিকিৎসক।”
|
থ্যালাসেমিয়া নিয়ে শিবির
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর
|
এ বার স্কুলে স্কুলে থ্যালাসেমিয়া নির্ণয় শিবির করতে উদ্যোগী হল জেলা পরিষদ এবং থ্যালাসেমিয়া সোসাইটি অব মেদিনীপুর। যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচি শুরু হচ্ছে লালগড় থেকে। ২১ ফেব্রুয়ারি লালগড় রামকৃষ্ণ বিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই নির্ণয় শিবির শুরু হবে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ বলেন, “জেলার সমস্ত স্কুলে থ্যালাসেমিয়া নির্ণয় শিবির হবে। এ জন্য পদক্ষেপও করা হচ্ছে।” থ্যালাসেমিয়া সোসাইটি সূত্রে খবর, সোসাইটির উদ্যোগে ইতিমধ্যে ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৩১৬ জনের রক্ত পরীক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। এঁদের অধিকাংশই দুই মেদিনীপুর জেলার বাসিন্দা। দেখা গিয়েছে, এর মধ্যে ১৫ হাজার ৭৫২ জন থ্যালাসেমিয়া রোগের ‘বাহক’। আর এই রোগে আক্রান্ত ৩ হাজার ১২৯ জন। থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের চিকিত্সাও চলছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জেলায় এই রোগের প্রভাব বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন বিভিন্ন মহল।
|
প্রাথমিক চিকিত্সা নিয়ে এক কর্মশালা হল মেদিনীপুর সদর ব্লকের গুড়গুড়িপাল হাইস্কুলে। সোমবার থেকে কর্মশালাটি শুরু হয়েছিল। শেষ হয় মঙ্গলবার। দু’দিনের এই কর্মশালায় স্কুলের ২৪২ জন ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করে। এক সংস্থা এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে কর্মসূচি আয়োজিত হয়। আচমকা কোনও চোটআঘাত লাগলে, কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে, হাত-পা মচকে গেলে প্রাথমিক ভাবে কী করণীয়, কর্মশালায় তাই হাতেকলমে শেখানো হয়। ছাত্রছাত্রীদের প্রাথমিক চিকিত্সা নিয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়। এই কর্মশালার ফলে ছাত্রছাত্রীরা উপকৃত হয়েছে বলেই মনে করছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। |