শৌচাগারে ঘুঁটে রেখে প্রাকৃতিক কাজ মাঠে
টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। গ্রামবাসীদের বাড়িতে গড়ে দেওয়া হচ্ছে শৌচালয়। অথচ গ্রামের অনেকেই শৌচকর্মের জন্য বাড়ির সেই শৌচালয় ব্যবহার করছেন না। কেউ কেউ সেখানে রাখছেন ঘুঁটে। কেউ বা রাখছেন কাঠকুটো। স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রাথমিক বিধি মানার বালাই থাকছে না অনেক ক্ষেত্রেই।
এই নিয়ে খেদ প্রকাশ করেছেন খোদ পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন এবং জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁর আক্ষেপ, “অনেক জায়গায় শৌচালয় তৈরির এক বছর পরে গিয়ে দেখি, সেখানে কাঠ -ঘুঁটে রাখা হচ্ছে। সরকার নিখরচায় শৌচালয় গড়ে দিচ্ছে বলেই কি ওটা ব্যবহার না -করলেও চলে?” মানুষকে সচেতন করতে কাল, বৃহস্পতিবার থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ‘জাতীয় বিশুদ্ধ পানীয় জল স্বাস্থ্যবিধান সপ্তাহ’ পালন করা হবে রাজ্য জুড়ে।
গ্রামবাসীরা যাতে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনে আগ্রহী হন, সেই জন্যই বাড়িতে শৌচালয় তৈরির জন্য বরাদ্দ বাড়িয়েছে রাজ্য। এই প্রকল্পে বরাদ্দ করা হয়েছে সাত হাজার কোটি টাকা। পরিবার -পিছু শৌচালয় তৈরির খরচ পুরো ১০ হাজার টাকা দেয় সরকার। তবু রাজ্যে এখনও ৭৮ লক্ষ মানুষ মাঠে মলত্যাগ করেন। ২০১৭ - ৩১ মার্চের মধ্যে ‘নির্মল বাংলা’ গড়তে ‘সচেতনতা আন্দোলন’ হচ্ছে। পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর এবং ইউনিসেফ মঙ্গলবার একটি কর্মশালার আয়োজন করেছিল রবীন্দ্র সদনে। গ্রামোন্নয়ন সচিব দিব্যেন্দু সরকার এবং জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কর্তা সত্যপ্রিয় ব্রহ্ম সেখানে জানান, শিক্ষা কেন্দ্র, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান এবং ভিড়ের জায়গায় শৌচালয় গড়া হবে। মানুষ যাতে শৌচালয় ব্যবহার করেন, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
স্বাস্থ্যবিধি প্রচারের জন্য দিনের অনুষ্ঠানে লিখিত বার্তা পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সুব্রতবাবু জানান, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে শৌচালয়ও গড়া হবে। ‘নির্মল গ্রাম’ কর্মসূচি রূপায়ণে বাংলা এখন দ্বিতীয়। আটটা জেলায় জল আর্সেনিক -দূষিত। বিশুদ্ধ জল দেওয়ার কাজ চলছে সেখানে। সরকার গঙ্গার জল শোধন করে পানীয় জল ‘প্রাণধারা’ তৈরি করেছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.