পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া কিশোরীর পরিচয় জানতে পারল পুলিশ। সোমবার বিকেলে ফলতার নতুন রাস্তা মোড়ের কাছে একটি পুকুর থেকে বছর পনেরোর এক বিবস্ত্র কিশোরীর দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয় মানুষ। পুকুরের পাশেই মেয়েটির জামাকাপড় পড়ে ছিল। ধর্ষণ করেই তাকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করে পুলিশ।
মঙ্গলবার মেয়েটির পরিচয় জানা গিয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সালমা খাতুন (১৫) নামে ওই কিশোরীর বাড়ি স্থানীয় রামলখা গ্রামে। সে পড়ত বুধিয়া গ্রামের মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে। শনিবার দুপুরে বাড়ি থেকে একাই বেরিয়েছিল সে। অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীটির যাওয়ার কথা ছিল নোদাখালির গজাপোয়ালি বাহিরকুঞ্জ গ্রামের মাসি আলিয়া বিবির বাড়িতে। ওই দিনই সন্ধ্যায় মেয়েটির বাবা সামাল শেখ ফোন করেন ওই আত্মীয়ার বাড়িতে। জানতে চান, মেয়ে ঠিকঠাক পৌঁছেছে কিনা। জানা যায়, মেয়ে আদৌ যায়নি সেখানে। অন্য আত্মীয়দের বাড়িতে খোঁজখবর করেও মেয়ের হদিস পাননি পরিবারের লোকজন। এ দিকে, সোমবার বিকেলে সালমার বাড়ি থেকে প্রায় পনেরো কিলোমিটার দূরে একটি মেয়ের দেহ উদ্ধারের খবর রটে যায় এলাকায়। মঙ্গলবার সকালে তার বাবা আসেন থানায়। কিন্তু রাতেই দেহ পাঠানো হয়েছিল ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে। তবে থানায় মেয়েটির ছবি তুলে রাখা হয়েছিল। তা দেখেই তাঁকে সনাক্ত করেন তার বাবা। খুনের মামলা দায়ের হয়েছে পরিবারের তরফে। সেই মতো তদন্তও শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। বিষয়টি ময়না-তদন্তের পরেই নিশ্চিত ভাবে জানা যাবে বলে জানান পুলিশ কর্তারা।
যে জায়গায় পাওয়া গিয়েছে মেয়েটির দেহ, সেটি বেশ নির্জন। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, মাঝে মধ্যে মদের আসর বসে পুকুর পাড়ে। কিন্তু মেয়েটি কী ভাবে সেখানে পৌঁছল, তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারী অফিসারদের। |