বাংলাদেশে রফতানির চাল খোলা বাজারে বিক্রির অভিযোগে এক ব্যবসায়ী ও এক লরি-চালককে গ্রেফতার করল বসিরহাট থানার পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে মাটিয়া বাজার এলাকা থেকে আইজুল বিশ্বাস নামে ওই চাল ব্যবসায়ী এবং শাসনের টোনা গ্রাম থেকে লরি-চালক মহম্মদ আজাদ আলিকে ধরা হয়। শতাধিক বস্তা চাল উদ্ধার করে পুলিশ। পাশাপাশি, কয়েকশো বস্তা চাল অবৈধ ভাবে বসিরহাটের মায়ের বাজারের একটি গুদামে মজুত রাখার অভিযোগে তা ‘সিল’ করা হয়েছে। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বারাসতের বাসিন্দা দেবব্রত বঙ্গবাস মাল পরিবহণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তিনি একটি লরি ভাড়া নিয়েছিলেন এয়ারপোর্ট এলাকার এক জনের কাছ থেকে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বর্ধমান থেকে ৫০ কিলো করে ৬৬০ বস্তা চাল ওই লরিতে তোলা হয়। দেবব্রতবাবুর মাধ্যমে তা বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে রফতানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১৪ তারিখ চাল বোঝাই ট্রাকটি বর্ধমান ছাড়লেও পরের দিন তা ঘোজাডাঙায় পৌঁছয়নি বলে জানতে পারেন দেবব্রতবাবু। সন্দেহ হওয়ায় তিনি বসিরহাট থানায় অভিযোগ জানান।
তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে আইজুলের কাছ থেকে ন’বস্তা চাল উদ্ধার করে। পুলিশের দাবি, আইজুল কবুল করেছেন, তিনি ২০ টাকা কিলো দরে ওই লরির ১০ বস্তা চাল কিনেছিলেন। তাকে জেরা করে লরিচালক আজাদের খোঁজ মেলে। মায়ের বাজার এলাকার গুদাম থেকে মেলে শতাধিক বস্তা চাল। গুদামে ওই চাল কী করে এল, দেখছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, বর্ধমান থেকে আনা চাল ভর্তি লরি ঘোজাডাঙা যাওয়ার পথে মধ্যমগ্রাম, বারাসত, বসিরহাটের বিভিন্ন এলাকায় দাঁড়ায়। সেখানে ওই চাল বদলে কম দামের চাল বস্তায় ভরে সীমান্তে পাঠানো হয়। |