|
|
|
|
বিক্ষোভের মুখে রাজ্যপাল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা
১৮ ফেব্রুয়ারি |
বিধানসভা অধিবেশনে তাঁদের কথা না-শোনায় রাজ্যপালকে ‘ধিক্কার’ জানিয়ে সভাকক্ষ ত্যাগ করলেন বিরোধী কংগ্রেস বিধায়করা। আজ এমনই ঘটনা ঘটল ত্রিপুরায়।
ঘটনার সূত্রপাত দুপুর ১১টা নাগাদ। বিধানসভার অধিবেশনে লিখিত ভাষণ পড়ছিলেন রাজ্যপাল দেবানন্দ কূঁয়র। কী ভাবে রাজ্য সরকার প্রশাসনিক ‘স্বচ্ছতা’ রেখে ‘প্রতিশ্রুতি’ বাস্তবায়িত করছে তার উল্লেখ করেন তিনি। রাজ্যপাল বলেন, ‘‘উন্নয়নের পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলার নিয়ন্ত্রণও জরুরি। রাজ্য সরকারের পদক্ষেপে ত্রিপুরায় উগ্রপন্থী সমস্যাও কমেছে।’’
ওই সময়ই বিধানসভার বিরোধী দলের নেতা সুদীপ রায়বর্মণ দাঁড়িয়ে রাজ্যে নারী নির্যাতনের সাম্প্রতিক ঘটনা, পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে কিছু বলার চেষ্টা করেন। তাঁর কথা রাজ্যপাল না-শোনায় সুদীপবাবু উত্তেজিত হয়ে বিধানসভার ওয়েলে নেমে যান। চিৎকার করে রাজ্যপালকে বলতে থাকেন, ‘‘আপনাকে কিছু বলতে চাই। দয়া করে শুনুন।’’ এক মূহূর্তের জন্যও না-থেমে লিখিত ভাষণ পড়তে থাকেন রাজ্যপাল।
এর পরই বিরোধী বিধায়করা প্ল্যকার্ড হাতে ওয়েলে নেমে যান। সকলেই বলতে থাকেন‘ধিক্কার ধিক্কার, মূক বধির সরকার, মানিক আর কূঁয়র’। রাজ্যপালের সামনে দাঁড়িয়ে তাঁরা বলেন, ‘ধিক্ ধিক্, ধিক্কার শ্রী কূঁয়র।’
রাজ্যপাল না-থেমেই লিখিত ভাষণ পড়ে যান। ১৫-২০ মিনিট উচ্চস্বরে প্রতিবাদেও রাজ্যপালের দৃষ্টি আকর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কংগ্রেস সদস্যরা সভাকক্ষ ছেড়ে চলে যান। ভাষণ সম্পূর্ণ করার পরই বিধানসভা থেকে চলে যান রাজ্যপাল।
পরে, কংগ্রেস বিধায়ক আশিস সাহা বলেন, ‘‘ত্রিপুরার বিধানসভায় রাজ্যপালের এমন ভূমিকা লজ্জাজনক।’’ |
|
|
|
|
|