পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে এক জন পুলিশ-সহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে ব্যাঙ্ককে। গত বছরের নভেম্বর থেকে তাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী ইয়াংলাক শিনাবাত্রাকে গদিচ্যুত করতে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। এ দিন অন্তত ছ’হাজার প্রতিবাদী জড়ো হয়েছিলেন ব্যাঙ্ককের ফান ফা সেতুর কাছে। এখানেই দেশের তেল এবং গ্যাস সংস্থা রয়েছে। জানুয়ারি থেকে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে তাইল্যান্ডে। জরুরি অবস্থা অগ্রাহ্য করার অপরাধে ১০০ প্রতিবাদীকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়। তার পরে শুরু হয় গণ্ডগোল। পুলিশ বিক্ষোভস্থলে হানা দেওয়ায় খেপে ওঠেন প্রতিবাদীরা। শোনা যায় গুলির শব্দ। শুরু হয় বিস্ফোরণও।
পুলিশের দাবি, তিন জন সাধারণ মানুষ এবং এক জন পুলিশের মৃত্যু হয় গোলাগুলি চলার সময়ে। আহত হন ৬৪ জন। ব্যাঙ্ককে শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে পুলিশ অভিযান চালিয়েছিল। তারা শান্তিপূর্ণ পথেই বিক্ষোভকারীদের হটাতে এসেছিল। পুলিশপ্রধান তারিত পেনডিথের বক্তব্য, বিক্ষোভকারীদের হিংসার জেরে এক জন পুলিশের মাথায় গুলি লাগে। প্রতিবাদীদের ছোড়া গ্রেনেডে জখম হন ১৭ জন পুলিশ অফিসার। আহতদের মধ্যে রয়েছেন বিদেশি এক সাংবাদিকও।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর-সহ সরকারি কিছু ভবন এখন প্রতিবাদীদের তরফে পিপলস ডেমোক্র্যাটিক রিফর্ম কমিটির দখলে রয়েছে। যেগুলি ফিরে পেতে চায় প্রশাসন। সেই লক্ষ্যেই পুলিশ বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভকারীদের হটাতে শুরু করেছে। তবে ইয়াংলাকের নির্দেশ রয়েছে, হিংসার পথে যেন না হাঁটে পুলিশ। এর মধ্যেই আজ আবার তাইল্যান্ডের দুর্নীতিদমন প্যানেল জানিয়েছে, চালে ভর্তুকি সংক্রান্ত বিতর্কিত একটি প্রকল্পে কর্তব্যে গাফিলতির জন্য ইয়াংলাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে। ওই প্রকল্পে তাইল্যান্ডের বহু কৃষক সরকারকে চাল বেচে ঠিকমতো দাম পাননি বলে অভিযোগ। দুর্নীতিদমন শাখার বক্তব্য, এই প্রকল্পের ফলে দুর্নীতি বাড়বে এবং আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল ইয়াংলাককে। কিন্তু তিনি তাতে কান দেননি। |