বিচারের মুখে পড়তে হতে পারে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনকে। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলের তরফে তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। কিমের শাসনকালে তাঁর প্রশাসন যে ভাবে মানবতা-বিরোধী অপরাধে জড়িয়েছে, তার জন্য কোর্টে দোষী সাব্যস্তও হতে পারেন তিনি।
কিম জং-উন।
|
উত্তর কোরিয়ায় এক বছর তদন্তের পরে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিল একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে। সেই রিপোর্ট-সহ একটি চিঠি মারফত কিমকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। ২০ জানুয়ারির ওই চিঠিতে প্যানেলের চেয়ারম্যান, অস্ট্রেলিয়ার অবসরপ্রাপ্ত বিচারক মাইকেল ডোনাল্ড কিরবির দাবি, যে সব অফিসার মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছেন, তাঁরা যে কিমের নিয়ন্ত্রণে থেকেই সেই কাজ করেছেন, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কিমকে উদ্দেশ করে চিঠিতে কিরবি লিখেছেন, ‘‘রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ উত্তর কোরিয়ার অবস্থা সম্পর্কে আন্তর্জাতিক অপরাধদমন আদালতে জানাবে। এবং এই অপরাধে যারা জড়িত, তাঁদের প্রত্যেককে (সম্ভবত আপনাকেও) দোষী সাব্যস্ত করা হবে।” কিরবির দাবি, উত্তর কোরিয়া সম্পর্কে বিভিন্ন সময়েই নানা অভিযোগ এসেছে তাঁদের কাছে। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে এ বার পদক্ষেপ করার সময় এসেছে।
উত্তর কোরিয়া অবশ্য বলেছে, এ সবই মিথ্যা। আমেরিকা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো উত্তর কোরিয়ার যে সব শত্রু রয়েছে, তারাই এ সব করছে বলে দাবি প্রশাসনের। এর আগেও রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধিরা উত্তর কোরিয়ায় গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের কাউকেই কখনও দেশে প্রবেশের সুযোগই দেয়নি প্রশাসন। তাই রাষ্ট্রপুঞ্জের চারশো পাতার তদন্ত-রিপোর্ট মূলত তৈরি হয়েছে সে দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসা তিনশোরও বেশি মানুষের সাক্ষ্যের উপরে ভিত্তি করে।
খুন, নৃশংস অত্যাচার, দাস হতে বাধ্য করা, যৌন হেনস্থা, অনাহার দেশের মানুষকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই সব অস্ত্রই ব্যবহার করেছে কিম প্রশাসন। কিরবির রিপোর্ট অনুযায়ী, “একটা ছোট গোষ্ঠীর মানুষের উপরে কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম করেই ক্ষান্ত থাকেনি কিম সরকার। তারা চেয়েছে, নাগরিকদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত নিয়ন্ত্রণ করতে।” |