পূর্বস্থলী থানার আওতাভুক্ত এলাকাকে ভেঙে আরও একটি নতুন থানা তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে প্রশাসন। প্রস্তাবিত থানার নাম হওয়ার কথা নাদনঘাট। এর জন্য জমিও চুড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। আপাতত, পূর্বস্থলী ১ ব্লকের সমুদ্রগড় উচ্চবিদ্যালয়ের পাশের একটি ফ্লাড সেন্টারে অস্থায়ীভাবে এই থানাটির কাজ চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নতুন থানায় ওসি পদমর্যাদার আধিকারিক দেওয়া হতে পারে পুলিশ সূত্রে খবর।
জেলা পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, শুধু পূর্বস্থলীই নয়, বর্ধমান সদর থানার চাপ কমানোর জন্য দেওয়ানদিঘি ও শক্তিগড়েও নতুন থানার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “পূর্বস্থলী, দেওয়ানদিঘী ও শক্তিগড়, এই তিনটি জায়গাতেই নতুন থানা তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সোমবার সমুদ্রগড়ে গিয়ে প্রস্তাবিত এলাকাটি ঘুরে এসেছি। ওই এলাকায় থানার ঘর তৈরির জমি আমাদের নামে স্থানান্তরিত হয়ে গিয়েছে। তবে, থানাগুলি তৈরির ব্যাপারে সরকারি নির্দেশ এখনও আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি।” |
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে কালনা মহকুমায় কালনা, মন্তেশ্বর, পূর্বস্থলী এই তিনটি থানা রয়েছে। প্রতিটি থানারই আওতায় থাকা জায়গা বেশ বিস্তৃত। মামলার সংখ্যাও বেশ বেশি। ২০১৩ সালে পূর্বস্থলী থানায় মামলার সংখ্যা ছিল ৭০২। তিনটি থানা এলাকায় আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য মোট ১০টি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে। এ ছাড়াও কালনা থানা এলাকায় রয়েছে বুলবুলিতলা, বাঘনাপাড়া, খেয়ামাঠ, ঝাঁপানতলা নামে চারটি পুলিশ ফাঁড়ি। এই ফাঁড়িগুলির মধ্যে বুলবুলিতলা ছাড়া বাকি তিনটি ফাঁড়ির পরিকাঠামো অত্যন্ত বেহাল। পুলিশের কর্তারা জানিয়েছেন, কালনা মহকুমায় অনেক প্রত্যন্ত গ্রাম রয়েছে। সেই এলাকায় কোনও ঘটনা ঘটলে পুলিশের পক্ষে পৌঁছানো কঠিন হয়ে যায়।
পূর্বস্থলী দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, “সমুদ্রগড় উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নতুন থানার জন্য তাঁদের স্কুলের কাছাকাছি বিঘা খানেক জমি দান করেছে। সেই জমিতে থানার ঘর তৈরির আগে স্কুল লাগোয়া ফ্লাড সেন্টারে অস্থায়ী ভাবে থানাটি চালানো হবে। থানাটির খুব দ্রুত উদ্বোধন করার চেষ্টা চলছে।” তবে থানার কাজে স্কুলের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেই কারণে একটি পাঁচিল তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বপনবাবু। পূর্বস্থলী ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিক বলেন, “এলাকায় যে আরও একটি থানার প্রয়োজন রয়েছে সেই বিষয়টি আগে অনেক বার বিধানসভায় জানানো হয়েছিল।” |