মিলছে না উপযুক্ত জমি। আসানসোলে কঠিন বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র গড়ার পথে অন্তরায় হয়ে উঠেছে এই সমস্যাই। পুরসভা এই কেন্দ্র তৈরিতে উদ্যোগী হলেও জমির সমস্যায় কাজে হাত দেওয়া যায়নি বলে পুরসভা সূত্রে খবর। আসানসোলের ডেপুটি মেয়র অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা জমির খোঁজ করছি। উপযুক্ত জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। তবে সমস্যা মিটিয়ে শীঘ্রই এই কেন্দ্রটি তৈরি করা হবে।”
আসানসোল শহরের যাবতীয় আবর্জনা ডাঁই করে ফেলা হয় ২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে। শহরে ঢোকার মুখে কালিপাহাড়ির কাছে জাতীয় সড়কের দু’পাশে আবর্জনার স্তূপ পড়ে থাকে। দুর্গন্ধের কারণে ওই এলাকা দিয়ে চলাফেরা করা দায় হয় বলে শহরবাসীর অভিযোগ। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঝড় হলে আবর্জনা ঘড়বাড়িতে ঢুকে পড়ে। বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, মাঝে-মাঝে ওই আবর্জনায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে দুর্গন্ধ ও ধোঁয়ায় ভরে যায় গোটা অঞ্চল। বাসিন্দারা বহু বার সেখান থেকে আবর্জনা সরানোর আবেদনও করেছেন। শহরে ঢোকার সময়ে রাস্তার দু’পাশে আবর্জনার স্তূপ যে শহরের সৌন্দর্যায়নের পরিপন্থী সে কথা স্বীকার করেন পুর কর্তৃপক্ষও।
|
সমস্যা মেটাতে আসানসোলে একটি কঠিন বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রক দফতর। মাস ছয়েক আগে শহরে এসে সে কথা জানান মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। পরিকল্পনা অনুযায়ী, আসানসোল ও কুলটির পুর এলাকা থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে এই কেন্দ্রে প্রক্রিয়াকরণের জন্য আনা হবে। কিন্তু সেই কেন্দ্র তৈরির কাজ এখনও শুরু করা যায়নি। মাসখানেক আগে বিধানসভার পুর ও নগরোন্নয়ন বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্যেরা আসানসোলে এসে নাগরিক পরিষেবা সংক্রান্ত নানা কাজের প্রশংসা করার পাশাপাশি এই বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র দ্রুত তৈরির পরামর্শও দেন।
কিন্তু প্রয়োজনীয় জায়গা না মেলায় এই কেন্দ্র তৈরির উদ্যোগ সম্পূর্ণ হচ্ছে না বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। ডেপুটি মেয়র অমরনাথবাবু বলেন, “আসানসোলের শেষ প্রান্তে কালিপাহাড়ির কাছে নুনিয়া নদীর ধারে কিছুটা জয়গা পেয়েছিলাম। কিন্তু সেখানকার কিছু লোকজন আপত্তি জানাচ্ছেন। তাই সেখানেও এই কেন্দ্র তৈরি করা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।’’ জমির সমস্যা অবশ্য তাড়াতাড়িই মিটে যাবে বলে আশ্বাস তাঁর। |