এক শিক্ষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও নিগ্রহের অভিযোগ উঠল পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের বর্ধমান আঞ্চলিক কার্যালয়ের কয়েক জন কর্মীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার জামুড়িয়ার মদনতোড় পঞ্চায়েতের সত্তর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শর্মিলা সেন জেলা আঞ্চলিক আধিকারিকের কাছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেছেন।
তিনি জানান, ১২ ফেব্রুয়ারি আসানসোল ওল্ড স্টেশন হাইস্কুলে একটি শিবিরের আয়োজন করে মহকুমার প্রতিটি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হাতে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড তুলে দিয়েছিলেন জেলা আঞ্চলিক অধিকর্তার পাঠানো প্রতিনিধি। তবে এক ছাত্রী রিনা কোড়ার অ্যাডমিট কার্ডটি ছবি ছাড়াই পাঠানো হয়েছিল। মঙ্গলবার অ্যাডমিট কার্ড সংক্রান্ত কাজ করার শেষ দিনে উপযুক্ত নথি নিয়ে ওই ছাত্রীর অ্যাডমিট কার্ডের ছবি আনতে বর্ধমান আঞ্চলিক কার্যালয়ে গিয়েছিলেন তাঁদের স্কুলের শিক্ষক সমরেন্দ্রনাথ বাগ। অভিযোগ, ওই কার্যালয়ে ১১টা ৫ মিনিট নাগাদ যে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী ছিলেন তিনি সমরেন্দ্রনাথবাবুকে অ্যাডমিটের আসলটি না দিয়ে প্রত্যয়িত প্রতিলিপি নিয়ে যাওয়ার জন্য অপমান করেন। সমরেন্দ্রনাথবাবু বলেন, “আমি তাঁকে অনুরোধ করি যে, আজ শেষ দিন। প্রত্যয়িত প্রতিলিপি দেখে কাজটা করে দিন, না হলে ওই ছাত্রী এ বছর পরীক্ষা দিতে পারবে না।’ অভিযোগ, এ কথা শুনে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী দুর্ব্যবহার করেন। এমনকী জোর করে বের করে দেন সমরেন্দ্রবাবুকে। ওই কর্মীর সঙ্গে আরও কয়েক জন কর্মীও তাঁকে নিগ্রহ করেন বলে অভিযোগ।
ফোনে খবরটি জানার পরেই লিখিত অভিযোগ-সহ স্কুলের আরও চার শিক্ষককে জেলা আঞ্চলিক কার্যালয়ে পাঠান প্রধান শিক্ষিকা শর্মিলাদেবী। আঞ্চলিক আধিকারিকের হাতে ওই অভিযোগপত্রটি তুলে দেন তাঁরা। পরে ওই ছাত্রীর অ্যাডমিটের ছবিটিও তাঁদের দিয়ে দেওয়া হয়। ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন তৃণমূল শিক্ষা সেলের জামুড়িয়া ব্লক সম্পাদক রামপ্রকাশ ভট্টাচার্য। তিনি জানান, তাঁরা আঞ্চলিক আধিকারিককে জানিয়েছেন, ওই দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীর ব্যবহারে রুষ্ট হয়ে এর আগেও অনেক শিক্ষক অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ওই কর্মীর উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেছেন তাঁরা।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের জেলা আঞ্চলিক আধিকারিক সন্তোষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।”
|