হাসপাতালের মান বাড়াতে এখনও বাকি জমি অধিগ্রহণ
গরা মহকুমা হাসপাতালকে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে উন্নীতকরণের কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১২ সালে ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু তারপর এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও হাসপাতালের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজই সম্পূর্ণ হয়নি। ফলে এখনও শুরু হয়নি প্রকল্পের কাজ।
এগরায় সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল গড়তে প্রায় ১১ একর জমির প্রয়োজন। বর্তমানে মহকুমা হাসপাতাল কতৃর্পক্ষের হাতে এগরা-কুদি রাস্তার পূর্বদিকে হাসপাতাল সংলগ্ন বস্তিয়া এলাকায় মাত্র ১ একর ৮১ ডেসিমেল জমি রয়েছে। ওই এলাকায় খাস জমি রয়েছে ১ একর ২৬ ডেসিমেল। যদিও সেই জমি এখনও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে আসেনি। ফলে ওই প্রকল্পের জন্য এখনও ৭ একর ৪১ ডেসিমেল জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। যদিও এগরা মহকুমা হাসপাতালের সুপার নন্দকুমার মল্লিক বলেন, “ওই জমি অধিগ্রহণের ব্যাপারে কিছু জানি না। প্রশাসন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।”

সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের ঘোষণাই সার। এখনও নতুন
ভবনের কাজ শুরু হয়নি এগরা মহকুমা হাসপাতালে।—নিজস্ব চিত্র।
এগরা মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লক ভূমি সংস্কার দফতর ওই এলাকার জমির মালিকদের নামের তালিকা জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠিয়েছে। এরপর জেলা প্রশাসন জমি অধিগ্রহণ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিলে ওই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। হাসপাতাল সুপার বলেন, “আপাতত হাসপাতালের হাতে থাকা ১ একর ৮১ ডেসিমেল জায়গায় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মূল ভবনের কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে টেন্ডারও ডাকা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকেই ওই কাজ শুরু হয়ে যাবে।”
এগরা মহকুমা হাসপাতালে বর্তমানে ১৫০টি শয্যা রয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ সময়েই জায়গার অভাবে রোগীদের স্থান দেওয়া যায় না। তাছাড়া হাসপাতালের বহির্বিভাগে গড়ে দিনে ২৫০ জন রোগী আসেন। মহকুমার ৫টি ব্লক ছাড়াও পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা, দাঁতন, মোহনপুর থেকেও এখানে রোগীরা আসেন। হাসপাতালে নেই কোন ব্লাড ব্যাঙ্কও। ফলে রক্তের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই সঙ্কটজনক রোগীরা সমস্যায় পড়েন। রোগীর পরিজনদের রক্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল বা তমলুকে জেলা হাসপাতালে ছুটতে হয়। মহকুমা হাসপাতালে প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসকও অপ্রতুল। হাসপাতালে ৩২ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন মাত্র ১৮ জন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ৩৩০টি শয্যা থাকবে। হাসপাতালে অনেক নতুন বিভাগ ছাড়াও জটিল অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা চালু করা হবে। এছাড়াও নতুন হাসপাতালে গড়ে তোলা হবে ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট। হাসপাতাল সুপার বলেন, “সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থা থাকবে।” এ ছাড়াও আগামী দিনে হাসপাতালের সামনে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান চালু করা হবে বলেও তিনি জানান।
প্রশ্ন হল, এই প্রকল্প রূপায়ণে দেরি হওয়ার কারণ কি?
যদিও এবিষয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের থেকে সদুত্তর মেলেনি। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি গত মাসে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। তাই ওই প্রকল্পের দেরি হওয়ার কারণ সম্পর্কে কিছু বলতে পারব না।” তিনি জানান, চলতি মাসের মধ্যেই ওই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে। জেলা স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ পাথর্প্রতিম দাস বলেন, “স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশিকা অনুযায়ী কাজ এগোচ্ছে। আশা করি, দ্রুত প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.