ফ্ল্যাট বা বাড়ির স্ট্যাম্প ডিউটি কমল রাজ্য বাজেটে।
সোমবার বিধানসভায় অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বাজেট বক্তৃতায় জানিয়েছেন, এখন সম্পত্তির বাজার মূল্য ২৫ লক্ষ টাকার বেশি হলে ১ শতাংশ বেশি স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হয়। এখনই এই সীমা বাড়িয়ে ৩০ লক্ষ টাকা করার প্রস্তাব রেখেছেন অর্থমন্ত্রী। অর্থাৎ, এ বার থেকে ৩০ লক্ষ টাকার সম্পত্তির জন্যও ৭ শতাংশের বদলে ৬ শতাংশ স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হবে। সম্পত্তির দাম ৩০ লক্ষ টাকার বেশি হলে তবেই ৭ শতাংশ স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হবে। সম্পত্তির উপর স্ট্যাম্প ডিউটি কমানোর প্রস্তাবে খুশি রজ্যের নির্মাণ শিল্প মহল। কনফেডারেশন অফ রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার (ক্রেডাই) রাজ্য শাখার সভাপতি হর্ষবর্ধন পাতোদিয়া মনে করেন, রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত নির্মাণ শিল্পে গতি আনবে।
এতদিন ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ফ্ল্যাট বা বাড়ির ক্ষেত্রে ৬% স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হত। সম্পত্তির দাম ২৫ লক্ষ টাকার বেশি হলে তার থেকে ১% শতাংশ বেশি অর্থাৎ কর দিতে হত ৭% হারে। বাজেটে অমিতবাবু ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ফ্ল্যাট বা বাড়ির ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটি ৬%-এ নিয়ে আসার প্রস্তাব দিয়েছেন। ৩০ লক্ষ টাকার বেশি হলে ৭% হারে কর দিতে হবে।
পাতোদিয়ার মতে, স্ট্যাম্প ডিউটি কমানোর সিদ্ধান্তে আবাসন শিল্পে চাহিদা বাড়বে। তিনি বলেন, “রাজ্যের প্রায় ৯০%-ই কম দামি ফ্ল্যাট। সে ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটি কমলে কম দামি সম্পত্তি আরও মধ্যবিত্তের আয়ত্তের মধ্যে আসবে। ফলে চাহিদা বাড়বে। তাতে শুধু নির্মাণ শিল্পই নয় এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত আরও সিমেন্ট, ইস্পাতের মতো শিল্পগুলিরও বাজার বাড়বে।”
স্ট্যাম্প ডিউটি কমানোর পাশাপাশি স্ট্যাম্প ডিউটি ঘাটতি দিতে দেরি করলে যে সুদ দিতে হয় তাও কমানোর প্রস্তাব রেখেছেন অর্থমন্ত্রী। এ দিন তিনি বিধানসভায় বাজেট বক্তৃতায় বলেন, “এখন স্ট্যাম্প ডিউটির ঘাটতি দিতে দেরি করলে, প্রতি মাসে ২ শতাংশ হারে সুদ দিতে হয়, যার কোনও ঊর্ধ্বসীমা নেই। আমি এই সুদের হার ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি, যার ঊর্ধ্বসীমা হবে ২০ হাজার টাকা।” তিনি জানান, বাড়ি মেরামত ও সংস্কারের জন্য বন্ধক রেখে ঋণ নিতে হয়। দ্বিতীয়বার বন্ধকের জন্য গৃহীত অর্থের উপর কোনও ঊর্ধ্বসীমা ছাড়াই ৪ শতাংশ হারে স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হয়। অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাব, এ বার থেকে দ্বিতীয় বন্ধকের ক্ষেত্রেও মূল বন্ধকের মতোই স্ট্যাম্প ডিউটি হবে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ টাকা। |