সেরা ১০০ দিনের কাজে, দাবি রাজ্যের
কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান যা-ই বলুক, রাজ্য সরকারের দাবি, ১০০ দিনের কাজে দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গই। সোমবার বিধানসভায় ২০১৪-১৫ সালের বাজেট প্রস্তাব পেশ করে এই দাবি করেছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। দাবির পক্ষে কোনও পরিসংখ্যান না দিলেও লিখিত বাজেট-বক্তৃতায় এই ‘সাফল্যের’ দাবি করে তিনি মন্তব্য করেন, ‘বাংলা যা করেছে আজ, ভারত তা করবে কাল’।
প্রকল্পটি কেন্দ্রের। উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে গ্রামে কর্মসংস্থান সৃষ্টিই এর লক্ষ্য। এই প্রকল্পে একটি পরিবার বছরে সর্বোচ্চ ১০০ দিন কাজ পেতে পারে। কিন্তু এর সূচনা থেকে কোনও রাজ্যই সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি। সম্প্রতি এই প্রকল্পের সাফল্য নিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরোধ বেধেছে। অর্থমন্ত্রী এ দিন যে দাবি করেছেন, তার উল্টো পথে হেঁটে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের দাবি, জাতীয় গড়ের নীচে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। তাদের হিসাব, গত এপ্রিল থেকে এই জানুয়ারি পর্যন্ত ১০০ দিনের প্রকল্পে শ্রমদিবস তৈরির জাতীয় গড় ৩৮। সেখানে ওই সময়ে পশ্চিমবঙ্গ পরিবার-পিছু ২৬ শ্রমদিবস তৈরি করতে পেরেছে।
তখন বাজেট বক্তৃতা চলছে বিধানসভায়। —নিজস্ব চিত্র।
কেন তিনি ওই দাবি করছেন, তার পক্ষে কোনও তথ্য না দিলেও একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। তাঁর কথায়, রাজ্যে ১৬ হাজার কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা তৈরি হচ্ছে। এই কাজে ১০০ দিনের প্রকল্পকে ব্যবহার করা হচ্ছে। অন্যান্য রাজ্যও এখন এটা অনুসরণ করছে। একই ভাবে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা এবং জাতীয় গ্রামীণ জীবন-জীবিকা প্রকল্পের মতো কাজও ১০০ দিনের আওতায় আনা হয়েছে। অমিতবাবু দাবি করেন, গত আর্থিক বছরে রাজ্যের প্রায় ৫৭ লক্ষ পরিবারকে ওই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়। চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ওই প্রকল্পে কাজ পাওয়া পরিবারের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৪৩ লক্ষেরও বেশি।
বাজেটের দাবি, চলতি অর্থবর্ষে ১৬৫.৬১ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উৎপাদন করে রেকর্ড করেছে সরকার। আগামী বছরে তা ১৭৪ লক্ষে পৌঁছে রেকর্ড তৈরি করবে। রাজ্য পরপর দু’বার ‘কৃষিকর্মন পুরস্কার’ পেয়েছে। মার্চের মধ্যে ২৮ লক্ষ কৃষকের মধ্যে ‘কিষাণ ক্রেডিট কার্ড’ বিলি করা হবে। জেলাগুলিতে ‘আমার ফসল আমার গোলা’ এবং ‘আমার ফসল আমার গাড়ি’ প্রকল্প চালু হয়েছে। কৃষিপণ্য বিক্রয়ের সুবিধার জন্য রাজ্যে ৯৫টি ‘কৃষক বাজার’ তৈরি হবে। নভেম্বরে এই কাজ শেষ হবে।
অর্থমন্ত্রী জানান, রাজ্যের ৩৩৪৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতে রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পে ১৬ হাজার কিলোমিটার সড়ককে দু’লেনের রাস্তা করা হবে। এই ক্ষেত্রে ১০০০ কিলোমিটার রাস্তার জন্য ১২৫০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। বাজেট-প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ক্ষুদ্রসেচের কাজে চাষিদের সরাসরি অর্থ সাহায্য করতে ‘ডিএফএস-এমআইএস’ প্রকল্প চালু হচ্ছে। এই সুবিধা পাবেন ১ লক্ষ চাষি। বরাদ্দ হবে ৫০০ কোটি টাকা। বীরভূম-বাঁকুড়া-পুরুলিয়া-পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো খরাপ্রবণ এলাকায় কৃষির উৎপাদন বাড়াতে বিশেষ পদক্ষেপ করার কথা বলা হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.