আত্মসমর্পণ
নিজস্ব সংবাদদাত • ইন্দাস |
সিপিএম কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় আত্মসমর্পণ করলেন ইন্দাসের ১৭ জন তৃণমূল কর্মী। ২০০৯ সালে ঘটনাটি ঘটেছিল ইন্দাস থানার বেতালন গ্রামে। সোমবার ওই ১৭ জন বিষ্ণুপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। বিচারক তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
|
হুমকি দিয়ে ধৃতের পুলিশি হেফাজত |
কোর্ট চত্বরে অজয়।—নিজস্ব চিত্র। |
সহকর্মীর স্কুলপড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে নিজের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি মোবাইলে তুলে রেখে মেয়েটিকে ব্ল্যাকমেল করে ফের শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করানোর অভিযোগে ধৃত অজয় কুমারকে পুলিশ হেফাজতে পাঠাল পুরুলিয়া আদালত। নির্যাতিতা ওই স্কুলছাত্রীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার রাতে পুরুলিয়া শহরের গাড়িখানা এলাকায় বাড়ি থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে বিএসএনএলের অস্থায়ী কর্মী অজয়কে। রবিবার ধৃতকে এক দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠিয়েছিল আদালত। সোমবার তাকে ফের আদালতে হাজির করায় পুলিশ। অভিযোগের তদন্তের জন্য এ দিন অজয় কুমারকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন করে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার নীলকান্ত সুধীরকুমার বলেন, “আদালত অভিযুক্তকে পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার মোবাইলটির হদিস করা হবে।” এ দিন আদালত কক্ষ থেকে অভিযুক্তকে গাড়িতে তোলার সময় লোকজন অজয়ের পরিচয় জেনে ধিক্কার জানান। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে অজয় ডান হাতে নিজের মুখ ঢেকে প্রিজন ভ্যানে উঠে যায়। কোনও কথাই সে বলতে চাননি। অভিযুক্তের আইনজীবী কৌশিক সিংহের অবশ্য দাবি, “আমার মক্কেলকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ফাঁসানো হয়েছে।” বিএসএনএলের জেলা টেলিকম ম্যানেজার সুব্রত দাস বলেন, “আমরা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ওই রিপোর্ট পাওয়ার আগে অভিযুক্ত কর্মীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে কি না, বলা সম্ভব নয়।”
|
বধূর মৃত্যু, স্বামী ধৃত ইন্দাসে |
এক বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের হল। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ইন্দাস থানার ঝিকনাড়া গ্রামে। পুলিশ জানায়, মৃত বধূর নাম শ্যামলী সরকার (২৪)। তাঁর স্বামী পরিমল সরকারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মৃতের বাবা, বর্ধমানের মাধবডিহি থানার লোহাই গ্রামের বাসিন্দা অসীম চৌধুরীর অভিযোগ, “বছর পাঁচেক আগে দেখাশোনা করেই মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলাম। দুই নাতনিও রয়েছে। তার পরেও জামাইয়ের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। আমার মেয়ে আপত্তি করলে ওকে নানা ভাবে অত্যাচার করত জামাই।” পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে অসীমবাবু দাবি করেছেন, গলায় বাঁশ চেপে নিজের মাকে খুন হতে দেখেছে তাঁর এক নাতনি। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত পরিমলের দাদা-বউদি পলাতক। তাঁদের খোঁজ চলছে।
|
বাজারের চাহিদা মেনে গৃহস্থ বাড়িতে এখন আর কাঁসার থালা-বাটি সে ভাবে ব্যবহার হয় না। এক সময় পুঞ্চা থানার বুগলিডি গ্রামের শিল্পীদের গড়া কাঁসার সামগ্রী পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ছাড়িয়ে উত্তরবঙ্গেও সরবরাহ হত। সেই সুদিন আজ আর নেই। কাঁসার বাসন বা মাছের কাঁটা শিল্প একে একে উধাও হয়েছে এই গ্রাম থেকে। এক সময় যাঁদের হাত ধরে এই শিল্পের রমরমা বাজার ছিল, সেই প্রবীণ শিল্পীদের মঞ্চে বসিয়ে সংবর্ধনা দিল স্থানীয় একটি সংস্থা। রবিবার ওই অনুষ্ঠানে বুগলিডি গ্রামের প্রবীণ শিল্পী মনসারাম কর্মকার, বাউরিদাস কর্মকার, বঙ্কুবিহারী কর্মকার সংবর্ধনা পেয়ে আপ্লুত। তাঁদের কথায়, “এরা আমাদের ভুলে যায়নি।” আয়োজক সংস্থার সভাপতি সরোজ কর্মকার বলেন, “এ দিন দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের হাতে নিখরচায় পাঠ্যপুস্তকও তুলে দেওয়া হয়েছে।” ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মানবাজারের বিধায়ক সন্ধ্যারানি টুডু, পুরুলিয়া জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।
|
মারা গেলেন পুরুলিয়ার কবি মুকুল চট্টোপাধ্যায়। রবিবার রাতে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮। তিনি পুরুলিয়া শহরের নিমটাঁড় এলাকায় থাকতেন। প্রাথমিক শিক্ষকতার পেশা থেকে কয়েক বছর আগে অবসর নিয়ে কবিতা ও লেখালেখি নিয়েই থাকতেন। বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থতাজনিত কারণে ভুগছিলেন। রবিবার সন্ধ্যায় তাঁকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে তিনি মারা যান। শহরের ও জেলার কবি সাহিত্যিকরা এ দিন তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তাঁর শেষযাত্রায় সামিল হন। তিনি জিরাফ নামে একটি লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদনা করতেন। |