রাজনৈতিক সংঘর্ষের একটি মামলায় প্রমাণাভাবে খালাস পেলেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সৃষ্টিধর মাহাতো এবং বলরামপুরের তৃণমূল নেতা অঘোর হেমব্রম-সহ মোট ২৩ জন অভিযুক্ত। সোমবার পুরুলিয়া জেলা আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক প্রথম আদালতের বিচারক কর্ণপ্রসাদ বর্মন অভিযুক্তদের এই মামলায় বেকসুর খালাস ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী লোকেশ বন্দ্যোপাধ্যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মিছিল ও পাল্টা মিছিল থেকে বলরামপুরে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষের ওই ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি। পরের দিন রাজ্যে শিল্পধর্মঘট সফল করার আহ্বান জানিয়ে সিপিএম বলরামপুরে একটি মিছিল বের করে। তৃণমূল বন্ধে সাড়া না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে পাল্টা মিছিল বের করে। দু’টি মিছিলকে কেন্দ্র করেই সংঘর্ষ বাধে। সিপিএমের অভিযোগ ছিল, তাদের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরও চালানো হয়েছিল। তাদের এক কর্মীর মোটরবাইকও জ্বালানো হয়েছিল। লোকেশবাবু বলেন, “ঘটনার পরে সিপিএমের পক্ষ থেকে সৃষ্টিধর মাহাতো, অঘোর হেমব্রম-সহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তদন্ত শেষে পুলিশ ওই বছরেরই জুন মাসে আদালতে চার্জশিট পেশ করে। মামলার বিচার শুরু হয় সে বছর ডিসেম্বরে।” লোকশবাবু জানান, ওই ঘটনায় অভিযুক্তরা জড়িত, এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই আদালত অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস ঘোষণা করেছে। এ দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন সৃষ্টিধরবাবু। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। আদালত আমাদের বেকসুর খালাস দিয়েছে।” সিপিএমের বলরামপুর জোনাল কমিটির সদস্য কোকিল রজক, যিনি নিজে এই মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন, তাঁর মন্তব্য, “ঘটনাটি ঘটেছিল। তবে, আদালতের রায় নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।” |