কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত রাজু দেবনাথ শান্তিপুরের বাইগাছি-সেনপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস তিনেক আগে শান্তিপুরের ওই কিশোরী পালিয়ে যায় রাজুর সঙ্গে। রাজুর বাড়িতে থাকতে শুরু করে সে। কিন্তু মাথার তেমন চুল না থাকায় তাকে নিয়ে রাজুর বাড়িতে অশান্তি শুরু হয় বলে অভিযোগ। মাস দেড়েক পরে কিশোরী তার নিজের বাড়িতে ফিরে আসে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি ফের নিখোঁজ হয়ে যায় ওই কিশোরী। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করার পর মেয়ের সন্ধান না পেয়ে পরের দিন শান্তিপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে ওই কিশোরীর পরিবার। এরপর ১৪ ফেব্রুয়ারি রানাঘাট মহকুমা আদালতে রাজু দেবনাথ ও তার মা-বাবার বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন কিশোরীর বাড়ির লোকেরা। রবিবার সন্ধ্যায় অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফেরে ওই কিশোরী। সোমবার তাকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে ওই কিশোরী বলেন, “আমরা পালিয়ে বিয়ে করেছিলাম। কিন্তু আমার মাথায় চুল না থাকায় অত্যাচার শুরু হয়। আমাকে জোর করে বাপের বাড়িতে ফিরিয়ে দেয়। তারপরেও আমার সঙ্গে রাজু গোপনে যোগাযোগ রাখত। বলে যে আমি ওর সঙ্গে বাইরে পালিয়ে গেলে ফের ও আমার সঙ্গে সংসার করবে। সেই মতো আমি ওর সঙ্গে রানাঘাটে গেলে জোর করে সোনারপুরের কাছে এক জায়গায় নিয়ে গিয়ে রাখে। সঙ্গে ওর তিন বন্ধু ছিল। সেখানে আমার উপরে অত্যাচার করে। পরে ব্যারাকপুরে এক বাড়িতে আমাকে কাজে লাগিয়ে দেয়। সেখান থেকে আমি পালিয়ে এসেছি।” এ দিকে, রানাঘাট মহকুমা আদালত থেকে শান্তিপুর থানায় একটি অপহরণের মামলা দায়ের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ আসে। সেই মতো পুলিশ অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে রাজু দেবনাথকে গ্রেফতার করে। রাজুর পরিবারের সকলে পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে। এসডিপিও বলেন, “একটি অপহরণের মামলা রুজু করা হয়েছে। পরে তদন্তে যদি আরও কিছু উঠে আসে তাহলে সেই মতো পদক্ষেপ করা হবে।” |